অ্যাপলের সিইও বরাবরই দাবি করে আসছেন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম তার ম্যাকিনটশেরই নকল। তবে তাকে কখনো এমনটি বলতে শোনা যায়নি যে, ম্যাকেও বেশ কিছু সুবিধা বা বৈশিষ্ট্য উইন্ডোজ থেকে নকল করা হয়েছে। হয়তো আপনিও কখনোই শোনেননি বা ভেবে দেখেননি ম্যাক কখনো উইন্ডোজের নকল করেছে কি না। সত্য কথা হচ্ছে এই যে, উইন্ডোজ ম্যাক থেকে নকল একটু বেশি করলেও ম্যাক যে একেবারেই নকল করে তৈরি হয়নি তেমনটা ভাবা ভুল। ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমেও এমন অনেক সুবিধা বা বৈশিষ্ট্যই আছে যেগুলোর আবিষ্কারক মূলত মাইক্রোসফট উইন্ডোজ।
ফাইন্ডার সাইডবার
হার্ডড্রাইভের ফোল্ডারসমূহ ব্রাউজ করার সময় সাইডবারে যে শর্টকাটগুলো দেখানো হয় এগুলো সর্বপ্রথম উইন্ডোজে দেখা যায়। উইন্ডোজ এক্সপিতে সর্বপ্রথম এই সুবিধা যোগ হওয়ার পর ওএস এক্স প্যানথারে অ্যাপল ফাইন্ডার সাইডবার নামের এই সুবিধা যোগ করে। উল্লেখ্য, উইন্ডোজে একে উইন্ডোজ নেভিগেশন প্যান বলা হয়।
ম্যাক পাথ বার
ম্যাক ওএস এক্স লেপার্ডে একটি নতুন সুবিধা দেখা যায় যাকে ম্যাক পাথ বার বলা হয়ে থাকে। ফোল্ডার উইন্ডোতে যেকোনো সিলেক্টেড ফোল্ডারের অবস্থান দেখানো হয় উইন্ডোর নিচের অংশে। এখান থেকে দ্রুত যেকোনো ফোল্ডারে যাতায়াত করা যায় অথবা এক নজরে জেনে নেয়া যায় হার্ড ডিস্কে ফোল্ডারটির অবস্থান। তবে এই সুবিধাটি প্রথম দেখা যায় উইন্ডোজ ভিসতায়, যা ম্যাক ওএস এক্স লেপার্ডের প্রায় এক বছর আগে বাজারে আসে। তবে সুবিধার দিক দিয়ে উইন্ডোজে এই বিষয়টি যার নাম উইন্ডোজ অ্যাড্রেস বারই এগিয়ে।
ব্যাক এবং ফরওয়ার্ড বাটন
ফোল্ডার উইন্ডো অর্থাৎ, হার্ড ড্রাইভ ব্রাউজ করার সময় ব্রাউজারের মতোই পেছনে (ব্যাক) অথবা সামনে (ফরওয়ার্ড) যাবার জন্য বাটন যোগ করা হয় উইন্ডোজ ২০০০-এ। মজার ব্যাপার হলো, ম্যাকে অনেক আগে থেকেই ব্যাক বা পেছনে যাবার অপশন থাকলেও ফরওয়ার্ড কোনো বাটন ছিল না। উইন্ডোজের দেখাদেখি পরবর্তীতে ম্যাক ওএস এক্স ১০.২ জাগুয়ারে ফরওয়ার্ড বাটন যোগ করা হয়।
অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো মিনিমাইজ
ম্যাকে আগে নিচের ডকে অ্যাপ্লিকেশনের লঞ্চার থাকলেও মিনিমাইজ করলে সেই উইন্ডোজ আলাদাভাবে দেখাতো। আবার ম্যাক্সিমাইজ করলে তা ডক থেকে উধাও হয়ে যেত। এখনও তেমনটাই হয়, তবে ম্যাকের সর্বশেষ সংস্করণে নতুন যোগ করা হয়েছে লঞ্চারেই মিনিমাইজ করার সুবিধা, যা ডিফল্ট অবস্থায় বন্ধ থাকে। এটিও মূলত উইন্ডোজের টাস্কবার থেকেই শিখেছে অ্যাপল।
স্ক্রিন শেয়ারিং
ম্যাক ওএস এক্স ১০.৫-এ অ্যাপল ছোট একটি ব্যবহারোপযোগী টুল যোগ করে যার নাম স্ক্রিন শেয়ারিং। এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকা অন্য ম্যাকের সঙ্গে তারহীনভাবেই যোগাযোগ স্থাপন করা যায় এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানের কম্পিউটারের ডেস্কটপ দেখা এবং নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে উইন্ডোজে রিমোট ডেস্কটপ কানেকশন নামে অনেক আগে থেকেই সুবিধা যোগ করা ছিল। শুধু তাই নয়, অ্যাপল তাদের নিজস্ব স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন বের করার আগে মাইক্রোসফটই ম্যাকের জন্য রিমোট ডেস্কটপ কানেকশন সুবিধাটি তৈরি করেছিল।
টাইম মেশিন
টাইম মেশিন উইন্ডোজ থেকে চুরি করেনি অ্যাপল, তবে টাইম মেশিন যে কাজ করে, সেই পুরো ধারণাটাই উইন্ডোজ থেকে নিয়েছে অ্যাপল। তবে এই ধারণার জনক উইন্ডোজ হলেও টাইম মেশিন ব্যবহার উইন্ডোজের ব্যাকআপ অ্যান্ড রিস্টোর এর তুলনায় অনেক বেশি সহজ ও ব্যবহারবান্ধব বলেই মন্তব্য করেন অনেকে।
সিস্টেম প্রেফারেন্স
ম্যাকিনটশ অপারেটিং সিস্টেমে ওএস এক্স সংস্করণগুলোর পূর্বে ম্যাকে কন্ট্রোল প্যানেল নামে আলাদা একটি স্থানে সিস্টেম সেটিংসের যাবতীয় ফোল্ডারগুলো পাওয়া যেত। মাইক্রোসফট পরবর্তীতে উইন্ডোজের জন্য একই নাম ব্যবহার করে কিন্তু অনেক উন্নত ও আরো সহজ এবং ব্যবহারবান্ধব উপায়ে তৈরি করে কন্ট্রোল প্যানেল। এরপর পরই ওএসএক্স ১০.০ চিতায় অ্যাপল মাইক্রোসফটের তৈরি করা কন্ট্রোল প্যানেলের ধারণা সম্পূর্ণটাই ম্যাকে কাজে লাগায় এবং এর নাম দেয় সিস্%E
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য