মনোবিজ্ঞানী তুর্কলি বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ অবশ্য অনেকসময় একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে এবং পরবর্তিতে সরাসরি যোগাযোগে সুবিধা হয়।
সামাজিক নেটওয়ার্ক এখন যোগাযোগের অনেক বিষয়ই ঘটে থাকে। এখানে আমাদের আবেগও প্রকাশিত হয়। তবে একটি বিষয়ও খেয়াল করার বিষয়, আমরা আমাদের তথ্যগুলো সম্পাদনা ও মুছে দিতে পারি- আর তা অনেকে করি। তার মানে আমরা নিজেকে ভিন্নভাবেও উপস্থাপন করতে চাই। বাস্তবে এটা একেবারে সহজ না।
কোন একটি কাজ মনোযোগ সহকারে করার সময় মোবাইলে কল আসলে বা এসএমএস আসলে অনেক সময়ই গভীর মনোযোগ থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই। অনেক সময় এমনও হয় যে, বর্তমান কাজটি ছেড়ে অন্য কাজে হাত দেই। আর অনেক সময় এমনও হয়, যে কাজটি করা হচ্ছিল সেটিই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অথচ তা করার মনোযোগ হারিয় গেল।
প্রাইভেসির বেপারে বলতে গেলে আরো অনেক কথাই বলা যেতে পারে। আমাদের তথ্যগুলো উম্মুক্ত আর সেটা বিশ্বের সবাই দেখতে পায়। কিন্তু বাস্তব জীবনের প্রাইভেসির বেপারটি দেখুন, যখন বাড়িতে থাকি তখন বাড়ির লোকজনই দেখতে পায়, রাস্তায় থাকলে রাস্তার লোকজন। মিটিং এ থাকলে মিটিং এর লোকজন দেখে। আর এক এক সময় নিজের সাজসজ্জা ও পরিচয় এক এক রকম হয়।
খাওয়ার সময় বা বেডরুমে আমাদের ফোন আসতে পারে সেই সময় ফোন কলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও অন্যের জন্য বিরক্তকরও হতে পারে। এরকম অনেকগুলো বেপারই আছে।
তুর্কলি অবশ্য এই যুগের আগের যুগকে পছন্দ করেন এমনটা বলেন নি। তিনি সবাইকে এ বেপারে সচেতন হতে বলেছেন। এবং আন্তঃসম্পর্কে বেপারে সচেতনও হতে বলেছেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য