Blogger Widgets

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানকে জনপ্রিয়করনের আন্দোলন

বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তার বিষয়বস্তু বের করার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট উপকরণ সমূহ ব্যবহার করেন। কিন্তু তার সিংহ ভাগই ইংলিশ বা অন্যান্য ভাষায় লেখার দরুন সাধারণ বাংলা ভাষী মানুষ সেই সকল তথ্য এবং উন্নতি সম্পর্কে জানার থেকে অনেক পিছিয়ে। তাদের কে এই বিজ্ঞান ও নানা প্রযুক্তিক সম্পর্কে জানানোর জন্যই কৌতূহল।

বিজ্ঞান এর সাথে পড়ার আনন্দ যেখানে আলাদা

কল্পবিজ্ঞান থেকে প্রাচীন বিজ্ঞান সমস্ত ধরণের জনপ্রিয় বিজ্ঞানের লেখায় ভরা এই এই কৌতূহল। আছে বিভিন্ন রকম এর বিষয়। নানান রকম নতুন নতুন প্রযুক্তির খবরা-খবর। বিজ্ঞান এর ইতিহাস।

পড়ুন যেমন খুশি, যখন খুশি। পড়ান সবাই কে।

কৌতূহল হচ্ছে বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রুপ ব্লগ। বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী পাঠকেরা ইন্টারনেটে যাতে এক জায়গায় কিছু লেখা পড়তে পারেন সেই উদ্দেশ্যে এই কৌতূহল তৈরি। আপনিও যুক্ত হতে পারেন কৌতূহল-এর সাথে।

বিজ্ঞানকে সব মানুষের কাছে জনপ্রিয় করাই আমাদের উদ্দেশ্য।

বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়গুলো গল্পের ছলে বলে সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানে উৎসাহী করা, মানুষকে বিজ্ঞানমনষ্ক করা। দুর্বোধ্য ভাষায় তত্ত্বকথা না বলে বিজ্ঞানকে সহজ করে বোঝানো, এই উদ্দেশ্যে নিয়েই পথ চলা শুরু আমাদের।

মতামত জানান কৌতূহল-এর প্রতিটি লেখা ও অন্যান্য বিষয় কে আরও উন্নত করতে।

কৌতূহল-এর কথা জানিয়ে দিন আপনার পরিচিতদের কাছে Facebook, Twitter, email-র মাধ্যমে। কিংবা মুখেমুখে। কৌতূহল-এর সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে আমাদের দরজা খোলা।

Showing posts with label কম্পিউটার. Show all posts
Showing posts with label কম্পিউটার. Show all posts

৫-১০ বছরের মধ্যেই আপনার কম্পিউটারে পেতে পারেন কয়েক লক্ষ গীগা-বাইটের মেমোরিডিস্ক!!!


চমকে উঠার মত কথা! কয়েক লক্ষ গীগা-বাইট মেমোরিডিস্ক কম্পিউটারে। আসলে বাস্তব তথ্যটা আরও চমকানোর মত।কারন সম্প্রতি আই.বি.এম এর গবেষকরা এমন একটি আবিস্কার করেছেন,তা যদি বাজারজাত করা যায় তবে কয়েক লক্ষ গীগা-বাইট মেমোরি আপনার কম্পিউটারে নয় মোবাইল সেটের ছোট মেমোরি কার্ডেও পাবেন।

আসলে মেমোরি ডিস্ক গুলো প্রতি নিয়তি ছোট হচ্ছে।মাত্র ২০-৩০ বছর আগে এক গীগা-বাইট মেমোরি একটি পুরো কক্ষে রাখতেহত আর এখন আমরা কয়েক হাজার গীগা-বাইট মেমোরি আমাদের কম্পিউটারে রাখি। এ আবিস্কারটাও সেই ধারাবাহিকতায় এসেছে।

আই.বি.এম এর গবেষকরা মাত্র ১২টা অনু ব্যবহার করে ১বিট কম্পিউটার মেমোরি জমা করেছেন।বর্তমানে যে সব হার্ডডিস্ক আমরা ব্যবহার করি সেগুলোতে ১বিট জমা করার জন্য প্রায় ১মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ অনুর দরকার।আর এই আবিস্কারটা করতে তারা পদার্থের প্রতি-ফেরোচুম্বকত্ব (Anti-ferromagnetic) ধর্মকে ব্যবহার করেছেন।তারা মাত্র ৯৮টি প্রতিফেরোচুম্বক অনু ব্যবহার করে “THINK” শব্দটির ASCII কোড কম্পিউটার মেমোরিতে জমা করেছেন।মানে তাদের ব্যবহার করা মেমোরি,বর্তমানে ব্যবহৃত মেমোরি থেকে প্রায় ১লক্ষগুন ছোট। এর মানে হল,বর্তমান থেকে প্রায় ১লক্ষগুন মেমোরি ডিস্ক বানানো সময়ের ব্যাপার মাত্র।কিন্তু তার পরও আরও ৫-১০ বছর সময় লাগতে পারে বলা হয়েছে কারন পদার্থের প্রতি-ফেরোচুম্বকত্ব ধর্মটি শুধু হিমাঙ্কের নিচেই কাজ করে।আশাকরি কেউ নিজের কম্পিউটারকে শুধু বেশি মেমোরির জন্য বরফের মধ্যে রেখে কাজ করতে চাইবেন না।তাই গবেষকরা আরও কিছু সময় চেয়েছেন আবিস্কারটিকে সাধারন তাপমাত্রায় ব্যবহার উপযোগি করার জন্য।তবে তারা এও বলেছেন হয়ত অনুর সংখ্যা আরও কিছু বাড়িয়ে দিয়ে কিছুদিনের মধ্যই আবিস্কারটিকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ব্যবহার উপযোগি করা যেতে পারে।তাতেই বা মন্দকি,কয়েক লক্ষগুন না হয়ে কয়েক হাজার গুন হলেও আমারা আমাদের কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য কয়েক লক্ষ গীগা-বাইট মেমোরি ডিস্ক পেয়ে যাব এবং মোবাইলেই কয়েক হাজার গীগা-বাইটের মেমোরি পাব।

বাঁচুন হ্যাকিংয়ের বহুল পরিচিত একটি ফাঁদ থেকে


আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব বহুল পরিচিত এবং বহুল ব্যাবহৃত একটি হ্যাকিং পদ্ধতির সাথে। আপনার সবারই এ বিষয়ে কিছু ধারনা আছে। পদ্ধতি টি হলো “ফিশিং” অনেকে আবার একে অনেক নামে ডেকে থাকেন। এই পদ্ধতিটি বিশ্বের নামি দামী হ্যাকাররাও ব্যাবহার করে থাকে। এই ফাঁদে পা দেওয়া অনেক সহজ। আপনার অজান্তেই হ্যাক হয়ে যাবে আপনার একাউন্ট।

এই পদ্ধতিতে মূলত মূল সাইটের মতো করেই হুবহু আরেকটা নকল সাইট তৈরি করা হয়। এই নকল সাইটে লগিন করলেই আপনার পাসওয়ার্ড চলে যাবে হ্যাকার দের হাতে। আপনারা অনেকেই হয়তো পা দিয়েছেন এই ফাঁদে।
পিশিং সাইট যেভাবে তৈরি করা হয়:
এ ধরনের সাইট তৈরি করতে হ্যাকাররা প্রথমে মুল সাইটের মতো করে আরেকটা সাইট তৈরি করে। নকল সাইট বানাতে তারা ঐ সাইটের লগিন পেজ মানে হোম পেজের HTML কোড বের করে। কোন পেজের HTML কোড বের করার বিভিন্ন সফটওয়্যার ও অনলাইন টুল আছে। তারপর তারা ঐ পেজের লগিন এরিয়াকে মেইল সেন্ডারে রুপান্তরিত করে (যেটাকে আমরা নিজেদের সাইটে email to admin হিসেবে ব্যাবহার করে থাকি)।. তারা ইউজার নেম এরিয়াকে মেইলের সাবজেক্ট ও পাসওয়ার্ড এরিয়াকে মেইলের মুল অংশ এবং লগিন বাটন কে সেন্ড বাটন হিসেবে সেট করে। এখন সাইট টিতে লগিন করলেই আপনার ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড চলে যাবে হ্যাকারদের ইমেইলে।
যেভাবে পিশিংয়ের ফাঁদে ফেলা হয়:
ধরুন আপনার যে ইমেইল ঠিকানা দিয়ে ফেসবুক বা অন্য কোন সাইটে রেজিষ্টেশন করা আছে। ঐ মেইলে আপনি ফেসবুক আপডেট পান। হ্যাকাররা ঠিক একই ধরনের মেইল লিখে আপনার মেইল ঠিকানায় পাঠাবে নকল সাইটের ইউ আর এল দিয়ে। তখন আপনি ওখানে ঢুকে লগিন করলেই আপনার নাম ও পাসওয়ার্ড পাচার হয়ে যাবে।
ফিশিং থেকে বাঁচবেন যেভাবে:
1. অপনি নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি মূল সাইটে লগিন করছেন। এজন্য সাইটের URL চেক করে নিন।
2. আপনার পাসওয়ার্ড ও নাম সেভ করা থাকলে। আপনার ব্রাউজার একমাত্র আসল সাইটেই তা প্রদর্শন করবে।

কম্পিউটার ভাইরাস এর ইতিহাস


কম্পিউটার ব্যবহার করেছেন কিন্তু ভাইরাসের সম্মূখীন হননি এমন কাউকে পাওয়াই ভার। প্রায় সব কম্পিউটার ব্যবহারকারীই ভাইরাসের দ্বারা কম বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাস নিয়ে রয়েছে অনেক জল্পনা-কল্পনা। উৎসাহীদের আগ্রহ মেটাতে আমার এই ছোট প্রচেষ্টা। আসুন জানা যাক ভাইরাসের ইতিহাস! না পড়লে মিস করবেন…
কম্পিউটার ভাইরাস কি?
ভাইরাস হল এমন একটি প্রোগ্রাম যা একটি ধ্বংশকারী/সন্ত্রাসী হিসেবে নিজেকে (অর্থাৎ এর “এক্সিকিউটেবল” অংশকে) অন্যান্য প্রোগ্রামের সাথে সংযোগ করে সংক্রমণ ঘটায় এবং ধ্বংশযজ্ঞ চালায়। কম্পিউটারের পরিভাষায় ভাইরাস (VIRUS) শব্দটি ভাঙলে পাওয়া যায় ‘ভাইটাল ইনফরমেশন রিসোর্সেস আন্ডার সিজ (Vital Information Resources Under Seize)’ অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রখ্যাত গবেষক ‘ফ্রেড কোহেন’ ভাইরাসের নামকরণ করেন।

ভাইরাসের ইতিহাস পর্যালোচনা

১৯৮৬-১৯৮৭ প্রারম্ভিক পরিচয়ঃ
১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের দুই প্রোগ্রামার আমজাদ ও বাসিত উপলদ্ধি করল ফ্লপি ডিস্কের বুটসেক্টর executable কোড ধারণ করে এবং এ কোড কম্পিউটার চালু করলেই রান করে যদি ড্রাইভে ডিস্ক থাকে। তারা আরও উপলদ্ধি করে, এ কোড তাদের নিজস্ব প্রোগ্রাম (কোড) দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় যা মেমোরি রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম হতে পারে এবং যা নিজের কপি তৈরি করতে সক্ষম। প্রোগ্রাম নিজের অনুলিপি তৈরি করতে পারে বলে তারা এর নাম দেয় ‘ভাইরাস’।. কিন্তু এটি শুধুমাত্র ৩৬০ কিলোবাইট ফ্লপি ডিস্ককে সংক্রমিত করে।
১৯৮৭ সালে University of Delaware অনুভব করল তাদের কম্পিউটার এ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত। যখন কম্পিউটার শুরু করে ফ্লপি ডিস্কের লেবেল ‘(c) Brain’ দেখতে পেল। এটিই প্রথম ভাইরাসের আক্রমণ এবং এটি ডঃ সলেমন পযাবেক্ষণ করেন। এ ভাইরাসের উপস্থিতি প্রথম উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈকা কম্পিউটার কর্মী দেখে একে ভাইরাস বলে মনে করেন এবং ডিস্ক থেকে ডেটা পুনরুদ্ধারের কাজে নিমগ্ন ডঃ সলেমনের কাছে যান। ডঃ সলেমন একে বিশ্লেষণ করেন এবং এভাবে তিনি এন্টিভাইরাস ব্যবসায়ে আসেন।
ইতিমধ্যে ১৯৮৬ তে Ralf Burger নামক এক প্রোগ্রামার উপলদ্ধি করল, একটি ফাইল আরেকটি ভাইলের সংযুক্তিতে নিজে নিজের অনুলিপি (কপি) তৈরি করতে সক্ষম। তিনি এর উপর একটি ডেমোনেস্ট্রেশন লিখেন যাকে Virdem বলা হয়। তিনি এটি Chaos Computer Club এ বিতরণ করেন ডিসেম্বরের কনফারেন্সে যেটির Theme ছিল ভাইরাস সম্পর্কে। Virdem যেকোন com ফাইলকে আক্রান্ত করতে পারে। এর পে-লোড ভীতিকর নয়। এ ব্যাপারে Ralf খুব বেশি উৎসাহি হয়ে এ সম্পর্কিত একটি বই লেখেন। Ralf বুট সেক্টর ভাইরাস নিয়ে কোন চিন্তা করেন নি, তাই এ সম্পর্কে বইতে কিছু বললেন নি।
১৯৮৭ সালে Charlie, Vienna নামক ভাইরাসের উপন্থিতি লক্ষ্য করা যায়, যা মেশিনকে হ্যাং বা রিবুট করে দেয়। ইতিমধ্যে ইসরাইলের তেলআবিতে অন্য একজন প্রোগ্রামার Suriv-01 নামে ভাইরাস তৈরি করে। এটি ছিল মেমোরি রেসিডেন্ট ভাইরাস কিন্তু এটি .com ফাইলকে আক্রমণ করত। তার দ্বিতীয় ভাইরাস হল Suriv-02 যা শুধু .exe ফাইলকে আক্রমণ করে এবং এটি হল পৃথিবীর প্রথম .exe ফাইল আক্রমলকারী ভাইরাস। তার তৃতীয় ভাইরাস হল Suriv-03 যা .com এবং .exe উভয় ফাইলকে আক্রমণ করে। তার চতুর্থ ভাইরাস পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে যায় এবং তা Jerosalem নামে পরিচিত হয়। এ ভাইরাস আক্রান্ত ফাইল প্রতি শুক্রবার ১৩ তারিখে চালালে ভাইরাস ফাইলকে মুছে ফেলে।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে Fred Chohen কম্পিউটার ভাইরাসের উপর তত্ত্বমূলক প্রবন্ধ লেখে। Dr. Chohen প্রমাণ করেন যে কেউ প্রোগ্রাম রচনা করতে সক্ষম নন যা কোন ফাইল দেখে ১০০% নিশ্চিতভাবে বলতে পারে এতে ভাইরাস আছে কি না। তিনি কিছু পরীক্ষা চালান। তিনি সিস্টেমের জন্য একটি ভাইরাস রিলিজ করেন এবং আবিষ্কার করেন যে, এটি যে কারো অনুমানের চেয়েও অনেক বেশি দ্রুত বিচরণ করতে পারে।
১৯৮৭ তে Chohen, Lehigh University তে যোগদান করেন এবং এখানে Lehigh নামক ভাইরাস তৈরি করেন। Lehigh নিশ্চিত ছিল একটি অক্ষম ভাইরাস, এটি কখনো বিস্তার লাভ করতে পারে না। কারণ এটি শুধু মাত্র Command.com ফাইলকে সংক্রমিত করে এবং চতুর্থ অনুলিপি তৈরির পর এটি Host এর অনেক ক্ষতি সাধন করে। এ ভাইরাসের একটি নীতি ছিল যে এটি দ্রুত এর Host কে Damage করে বেঁচে থাকত না। Lehigh ছিল জঘন্যতম বিপদজ্জনক। চতুর্থ অনুলিপি তৈরির পর এটি ডিস্কে অভাররাইট করত, বেশিরভাগ FAT কে আঘাত করত। কিন্তু একটি ভাইরাস যা শুধুমাত্র Command.com ফাইলকে আক্রন্ত করত তা বেশি সংক্রমক ছিল না। যাই হোক না কেন Lehigh ভাইরাস ব্যাপক প্রচার পায়।
যখন সবকিছু চলতেছিল, Newzealand এর University of Wellington এর ছাত্র একটি ভাইরাস তৈরি করে যার Soft-restraint এবং Memory-restraint Replication থাকায় সারা বিশ্বে দ্রুত প্রসার লাভ করে। ইটালীর ইউনিভার্সিটি অব টুরিনের একজন প্রোগ্রামার অন্য আরেকটি বুট সেক্টর ভাইরাস লেখেন। এ ভাইরাস রান করে স্ক্রীণে লাফানো বল প্রদর্শীত হয়। এটি Italian, Ping-Pong / Bounching Ball নামে পরিচিত। এ সময় আমেরিকাতে Yale নামক অন্য আরেকটি বুট সেক্টর ভাইরাস দেখা যায়। ১৯৮৭ তেই একজন জার্মানী প্রোগ্রামার Cascade ভাইরাস লেখেন।

১৯৮৮- খেলা হল শুরু
১৯৮৮ সালে বানিজ্যিকভাবে বিভিন্ন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার তৈরি হয়। ­IBM কম্পিউটার ভাইরাসের ব্যাপারে জোরালো পদক্ষেপ নেয়। ১৯৮৮ সালে Virus-B নামে অপর একটি সাংঘাতিক ভাইরাস লেখা হয়। ১৯৮৮ এর শেষের দিকে Jerosalem ভাইরাস দ্বারা একটি অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান মারাত্মক ক্ষতির সম্মূখীন হয়। ভাইরাসের উপর প্রথম সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ডঃ সলেমানের প্রচেষ্টায় এবং একই বছর তিনি তৈরি করেন প্রথম এন্টিভাইরাস Toolkit।

১৯৮৯- তথ্য সন্ত্রাস
Jerisalem ভাইরাসের রূপান্তরিত ভাইরাস Fu Manchu বৃটিশ ভাইরাস গবেষকদের হাতে আসে। মার্চে Data crime নামক ভা্‌ইরাস দেখা দেয় হল্যান্ডে, এতে অনেক কম্পিউটার অচল হয়ে পড়ে এবং এ ভাইরাস অক্টোবরে আমেরিকাতেও ধরা পড়ে। লন্ডনের Royal National Institute of Blind, Jerosalem ভাইরাস দ্বারা আকান্ত হয়। আমেরিকাতে বিতরণকৃত এইডস সম্পর্কিত তথ্য সমৃদ্ধ বিশহাজার ডিস্কে দেয়া প্রোগ্রাম ইন্সটল করে অনেক ব্যবহারকারী বেশ বিপাকে পড়েন। Aids Information Disk ইনস্টল করার পর একটি হিডেন ডিরেক্টরী ও ফাইল তৈরি করে এবং Autoexec.bat ফাইলকে পরিবর্তন করে ফেলে। এর ফলে ৯০বার বুট হওয়ার পর সব ফাইল নামকে ট্রোজন এনপ্রিপ্টেড করে হিডেন এট্রিবিউট দেয় এবং একটি ফাইলই থাকে যাতে Po Box7, Panama এ ঠিকানায় $১৮৯ পাঠানোর কথা বলে। পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করে দায়ীকে গেপ্তার করে। ১৯৮৯ এর শেষ নাগাদ প্রায় ২ডজন ভাইরাস সম্পর্কে জানা যায়। কিন্তু এ সময়ে রাশিয়া ও বুলগেরিয়াতে কি হচ্ছে তা অনেকের অজানা থেকে যায়।

১৯৯০- কঠিন এক খেলা
Vienna ভাইরাস থেকে প্রথম Polymerphic ভাইরাস তৈরি হয়। এ বছর বুলগেরিয়া থেকে অনেক ভাইরাস উদ্ভব হয় আর এরা নিজেকে Dark Avenger নামে পরিচয় দেয়। এ ভাইরাস নতুন দু’টি ধারণার জন্ম দেয়। ১. `Fast Infector’ এ ভাইরাস মেমোরিতে ওপেন ফাইলকে আক্রামণ করে ও দ্রুত হার্ডডিস্কে আক্রান্ত করে। ২. Subtle Damage. Dark Avenger ভাইরাসটি শুধু ডেটা নয়, ডেটার ব্যাকআপও নষ্ট করতে চেষ্টা করে। এবছর বুলগেরিয়াতে প্রথম Virus Exchange BBS (VX BBS) বের হয়। ১৯৯০ এর ২য় সপ্তাহে Whale ভাইরাস দেখা দেয়। এটি বেশ বড় ও জটিল ভাইরাস যা বিশ্লেষণ করতে ভাইরাস গবেষকদের অনেক সময় লেগেছিল। ১৯৯০ এর শেষে এন্টিভাইরাস ভাইরাস লেখকদের চেয়ে শক্তিশালী ও সংগঠিত হয়। ১৯৯০ এর ডিসেম্বরে হ্যামবুর্গে European Institute for Computer Anti-virus Research (EICAR) প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা এন্টিভাইরাস গবেষক ও ভেন্ডারদের মধ্যে আলোচনার ব্যবস্থা করে ও সরকারকে ভাইরাস লেখকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলে। যখন EICAR প্রতিষ্ঠিত হয় তখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি ভাইরাস ছিল ও বুলগেরিয়ান ভাইরাস তৈরির কারখানা পুরোদমে চলছিল।

১৯৯১- প্রডাক্ট চালু ও পলিমরফিজম
১৯৯১ তে ভাইরাস সমস্যা মোটামুটি সমাধানে আসে। ডিসেম্বর ১৯৯০ তে Symantec Norton Antivirus চালু করে। এপ্রিল ১৯৯১ তে Central Point CPAV চালু করে। কিন্তু ডিসেম্বর ১৯৯১ এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল Glut (অসংখ্য ভাইরাস)।. ডিসেম্বর ১৯৯০ তে ২০০-৩০০ ভাইরাস ছিল। কিন্তু ডিসেম্বর ১৯৯১ তে এর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১২০০তে। পূর্ব ইউরোপ থেকে বেশি ভাইরাস তৈরি হয়। এতে এন্টিভাইরাস গবেষকরা প্রতিষেধক তৈরিতে বেশ হিমসিম খান। Tequila (সুইজারল্যান্ড) হল প্রথম বিস্তারকারী Polymorphic ভাইরাস।

১৯৯২-ব্যস্ত বছর
জানুয়ারী ১৯৯২তে Dark Avenger থেকে Self Mutating Engine (MtE) দেখা গিয়েছিল। প্রথমে এটাকে দেথা গিয়েছিল ভাইরাস নাম ছিল Dedicated কিন্তু সহসা MtE দেথা দিয়েছিল। প্রথমে ধরে নেয়া হয়েছিল MtE তে অজস্র ভাইরাস থাকতে পারে, কারণ এ্টি ভাইরাস খুঁজতে কঠিনতর করে। ঐ সময় Starship নামক অপর একটি সম্পূর্ণ পলিমরফিক ভাইরাস আসে। ১৯৯২তে বিশ্বে ব্যবহারকারীদের মধ্যে ভাইরাস আতংক দেখা দেয় এবং কম্পিউটার বিক্রেতারা আতংকিত হয়ে পড়ে। ৬ই মার্চের পূর্ব পর্যন্ত শুধু আমেরিকাতে প্রায় ১০হাজার কম্পিউটার অকেজো হয়ে পড়ে।

আগষ্ট, ৯২তে প্রথম ভাইরাস অথরিং প্যাকেজ দেখা দেয়, যা ব্যবহার করে যে কেউ ভাইরাস তৈরি করতে পারত। ১৯৯২ এর শেষের দিকে ইংল্যান্ডে গঠিত হয় ভাইরাস লেখক সমিতি Association of Really Cruel Viruses (ARCV) ভাইরাস প্রতিরোধ গোষ্ঠির সহায়তায় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কম্পিউটার ক্রাইম ইউনিট এদের চিহ্নিত করে ও গ্রেফতার করে। ARCV তিন মাসে কয়েক ডজন ভাইরাস তৈরি করে।
১৯৯৩- পলিমরফিক ভাইরাস ও ইঞ্জিন
১৯৯৩ এর প্রথম দিকে হল্যান্ড Trident নামক নতুন ভাইরাস লেখক আবিষ্কৃত হয়। Trident এর প্রধান লেখক মাসুদ খাফির Trident Polymorphic Engine (TPE) লিখে ও এটি ব্যবহার করে GRARFE নামক নতুন ভাইরাস ছাড়ে। Cruncher ভাইরাস হল Compression ভাইরাস যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেকে ফাইলে যুক্ত করে বিভিন্ন কম্পিউটারে অটো-ইনস্টল করে। ইতিমধ্যে Dark Avenger DAME (Dark Angel’s Multiple Encryptor) ছাড়ে ও এটি ব্যবহার করে Trigger নামক ভাইরাস তৈরি করে। Trident আগের চেয়েও জটিল ও কঠিন TPE এর ভার্সন ১.৪ এবং এটি ব্যবহার করে তৈরি Bosnia ভাইরাস ছাড়ে্। এ বছরই উচ্চ পলিমরফিক ভাইরাস Tremor দেখা দেয়। Dark Ray এবং John Tardy তাদের দলে যোগ দেয়ায় ১৯৯৩ এর মাঝামাঝি Trident গোষ্ঠি আরও উন্নতি লাভ করে। Tardy 888 বাইটে সম্পূর্ণ পলিমারফিক ভাইরাস ছাড়ে। ১৯৯৩ এর সবচেয়ে খারপ সংবাদ হল পলিমারফিক ইঞ্জিন এবং পলিমারফিক প্যাকেজের ছড়াছড়ি যা দিয়ে সহজেই এমন ভাইরাস তৈরি করা যায় যা এন্টিভাইরাস স্ক্যানার দিয়া ধরা কঠিন।
১৯৯৩তে XTREE এন্টিভাইরাস কোম্পানি তাদের ব্যবসা ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়- এটিই হল প্রখম ঘটনা যে একটি বড় এন্টিভাইরাস কোম্পানী গুটিয়ে ফেলা। এছাড়াও এ বছর অনেক এন্টিভাইরাস কোম্পানী বন্ধ হয়ে যায়। একই বছর ডঃ সলেমন Find Virus এবং Virus Guard এর ল্যাংগুয়েজ জন্য VIRTRAN এর জন্য Queen’s Award পান। ভাইরাস তৈরির প্যাকেজ ব্যবহার করে তৈরি ভাইরাসের সংখ্যাধিক্যর এন্টিভাইরাস লেখকরা হিমসিম খাচ্ছিল। এসব ভাইরাস বিশ্লেষণ করতে তাদের জন্য সহজ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এর সমাধান হল Generic Decryption Engine (GDE) যা সন্দেহজনক ফাইলকে কোড Decrypt করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত করে যে ফাইলটিতে ভাইরাস আছে কি নেই।
১৯৯৪ CPAV বন্ধ ও অজস্র ভাইরাসের আগমন
১৯৯৪ এর এপ্রিলে Central Point Software প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। Central Point এন্টিভাইরাস মার্কেটে তাদের CPAV প্রডাক্ট নিয়ে জনপ্রিয় ছিল। এবছর অজস্র ভাইরাসের আগমন ঘটে। বছরের শুরু ভাইরাস ছিল ৪০০০ এবং শেষে হল প্রায় ৬০০০।. ইউরোপের ভাইরাস লেখক গোষ্ঠি আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।দুরপ্রাচ্যে (Far fast) Mulation Engine তৈরি শুরু করে। Dark Slyer থেকে DSME অন্তর্ভূক্ত করে। ভাইরাসের এই মারাত্মক ছড়াছড়ি এন্টিভাইরাস ভেন্ডারদের সংকটে ফেলে দেয়। ডঃ সলেমান ভাইরাস প্রাচুর্যের সাথে তাল মিলিয়ে Combination পচন্দ করেন। কিছু Combination ভাইরাস উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ড থেকে বের হয়। ১৯৯৪ তে তিনটি ভাইরাস Natas, One-Half, SMEG.Pathogen আলাদা আলাদাভাবে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে।

১৯৯৫ ডকুমেন্ট ধ্বংসকারী ম্যাক্রোভাইরাসের উদ্ভব
১৯৯৫ এর ২৬শে মে Smeg ভাইরাস তৈরির অপরাধে ইংল্যান্ডের প্লেমাউথে ২৬ বছর বযস্ক Christopher Pile, Computer Misuse Act এর আওতায় দন্ডিত হন। ১৯৯৫ এর মধ্য পর্যন্ত ভাইরাসের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৭০০০ এ। এন্টিভাইরাস নির্মাতারা আতংকিত হয়ে উঠেন।দূরপ্রাচ্যের অনেক প্রোগ্রামার অনেক ভাইরাস নকল করে নতুন ভাইরাস তৈরি করেন। যেমন, তাইওয়ানের CVEX ভাইরাস পরীক্ষা করলে ধরা পড়ে যে এটি Jerosalem ভাইরাসের নকল। Virogen নামক প্রোগ্রামার VICE এবং Pinworm ভাইরাস লেখেন। ১৯৯৫ এর মধ্যভাগে ডঃ সলেমন Advanced Heuristic Analysis (AHA) উপস্থিত করান যা /ANALYZE সুইচ ব্যবহার করে Find Virus কে নতুন সম্ভাব্য ভাইরাস পরীক্ষা করতে Allow করে। ১৯৯৫ এর আগষ্টে প্রথম ম্যাক্রোভাইরাস WM/Concept এর উদ্ভব ঘটে। এই ভাইরাস এমএস ওয়ার্ডের৬.০ এর ডকুমেন্টকে আক্রান্ত করে। ডকুমেন্টে ম্যাক্রো তৈরি থেকে এ ভাইরাস তৈরি হয়।
ভাইরাসের ভয়াবহ আক্রমণে বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার বিপর্যয়
৯৯ এর ২৬শে এপ্রিল  সারাবিশ্বে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার CIH বা চেননোবিল নামক ভাইরাসের আক্রমণে বিপর্যয়ের সম্মূখীন হয়। টাইম বোমার মতো নির্দিষ্ট সময়ে এ ভাইরাসটি কম্পিউটারকে আক্রমণ করে। একই সময়ে সারাবিশ্বে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার এটাই সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা। কম্পিউটার সিস্টেমে সময় ও তারিখের জন্য ঘড়ি সেট করা আছে। ঘড়ির কাটায় ২৬শে এপ্রিল, ১৯৯৯ হওয়ার সাথে সাথে কম্পিউটারে লুকায়িত সিআইএইচ ভাইরাস বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। বিশ্বে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার অচল হয়ে পড়ে। পশ্চিমাদেশগুলোর তুলনায় এশিয়ার বিপর্যয়ের মাত্রা অনেক ভয়াবহ। এই ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে এন্টিভাইরাস কোম্পানীগুলো বারংবার সর্তক করার সত্ত্বেও এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর উদাসীনতার ফলে এই বিপর্যয় ঘটেছে।
অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র অনেক কম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ব্যাপক প্রচারনার ফলে যথাসময়ে এন্টিভাইরাস আপগ্রড কারায় কর্পোরেট হাউজগুলো এই বিপর্যয় এড়াতে পেরেছে। পিটার্স বুর্গের মেলোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইমারজেন্সি রেসপন্স টিমের মুখপাত্র বিল পোলক বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ২৩৮২টি কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে”।
সারা চীনে ১ লাখেরও বেশি কম্পিউটার CIH ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হয।চীনের বৃহত্তম এন্টিভাইরাসের সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রুইজিন কোম্পানীর জিএম লিউ জু একে মহাবিপর্যয় বলে আখ্যায়িত করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। দক্ষিন কোরিয়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী আন বিউং-ইয়প ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আমরা এই ভাইরাসটির ধ্বংশ ক্ষমতা সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলাম এবং বিষয়টির প্রতি যথেষ্ট গুরুত্ব দেইনি”।. তিনি বলেছেলেন, “কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে ও সর্তকতা পদ্ধতিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে”।. সরকারী সূত্রমতে, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩ লক্ষ কম্পিউটার CIH ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। তবে, এন্টিভাইরাস কোম্পানীগুলো দাবি করেছে, ৬ লাখেরও বেশি কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।
তুরষ্কের র‍্যাডিকেল পত্রিকা জানিয়েছে, বারংবার সর্তক করার সত্ত্বেও, কেউই বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ফলে যা ঘটার তাই ঘটেছে। প্রচুর কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে অচল হয়ে গেছে।
বিশ্বব্যাপি সবাই চেষ্টা করে এ বিপর্যায় কাটিযে উঠার জন্য। এই ভাইরাসটি ২৬শে এপ্রিল, ২৬শে জুন ও প্রতি মাসের ২৬ তারিখে আক্রমণ করতে দেখা যায়। এই ভাইরাসের আক্রামণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখনই সর্তক থাকুন।

পুরাতন দিনের জনপ্রিয় কিছু কম্পিউটার


আজকে আমি আপনাদের সামনে  বেশ কিছু আদি যুগের (!) দুনিয়া কাপানো Personal Computer এর কথা তুলে ধরার চেষ্টা করব। জানি না কতটা সফল হব, কিন্তু আপনাদের কাছে ভাল লাগলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে বলে মনে করব।


ম্যাকিন্টোশ ক্লাসিক (Macintosh Classic)

ম্যাকিন্টোশ ক্লাসিক বা ফ্যাট ম্যাক (ফ্যাট ম্যাক এর অফিসিয়াল নাম), প্রথম বের হয় জানুয়ারী ১৯৮৪ সালে। ম্যাকিন্টোশ ক্লাসিক এর সাথে ইন্টারনাল মনিটর তো ছিলই, অনেকে একে দেখলে বলে কম্পিউটার কথায়, এটাত একটা মনিটর। ৯ ইঞ্চি মোনক্রমের মনিটর। যাই হোক, ৮ মেগাহার্জের Motorola MC68000 সাথে কম্পিউটার টিতে ১ মেগাবাইট র‍্যাম এবং ৫১২ কিলোবাইট রম ছিল। এতে কোন প্রকার অপ্টিক্যাল ড্রাইভ বা হার্ড ড্রাইভ (ম্যাকিন্টোশ ক্লাসিক ২ তে ৪০ মেগা হার্ড ড্রাইভ ছিল) না থাকলেও ৮০০ কিলোবাইট এর একটি  ফ্লপি ড্রাইভ ছিল।

ম্যাকিন্টোশ এল সি ৪৭৫ (Macintosh LC475)

এর পরে যে কম্পিউটারটি নিয়ে আমি বলতে যাচ্ছি, সেটা হচ্ছে, ম্যাকিন্টোশ এল সি ৪৭৫। Motorola MC68LC040 প্রসেসরের ২৫ মেগা হার্জ ক্ষমতার এ কম্পিউটার টি ৪ মেগাবাইট র‍্যাম যার ১ মেগাবাইট শেয়ারড ছিল মেইন লজিক বোর্ড এর সাথে। লো প্রোফাইল ডিজাইন সাথে এক্সটারনাল ভিডিও মনিটর এবং ৮০ মেগাবাইট এর ইন্টারনাল হার্ড ড্রাইভ। এতে কোন প্রকার অপ্টিক্যাল ড্রাইভ না থাকলেও ১.৪ মেগাবাইট এর ফ্লপি ড্রাইভ ছিল।

ম্যাকিন্টোশ পাওয়ার ৮৬০০/২০০ :

ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ এ বের হওয়া এ পাওয়ার পিসি টি ডটার কার্ড এ বসান ২০০ মেগাহার্জের পাওয়ার পিসি ৬০৪ ই প্রসেসর এ চলত।৪ মেগাবাইট রম এবং ৩২ মেগাবাইট র‍্যামের এ কম্পিউটার টিতে ২ মেগাবাইট ভিডিও র‍্যামও সংযুক্ত ছিল। এর স্ট্যান্ডার্ড হার্ড ড্রাইভ টি ৮০ মেগাবাইট এর হলেও চাইলেই অতিরিক্ত কিছু টাকা দিয়ে আপনি সে সময়কার ২ গিগাবাইট হার্ড ড্রাইভ নিতে পারতেন।এতে ১২x স্পীডের সিডি রম এবং ১.৪৪ মেগাবাইটের ফ্লপি ড্রাইভ ও ছিল।১৯৯৭ সালে এর দাম ছিল ৩২০০ ডলার।


সিনক্লিয়ার যেড এক্স স্পেকট্রাম +( Sinclair Zx Spectrum+)

এ কম্পিউটার টি ছিল, ৩.৫৪ মেগাহার্জ এর যি-লগ যেড ৮০ এ প্রসেসর যুক্ত। সাথে ১৬ কিলোবাইট র‍্যাম। এর ডিসপ্লে ছিল, ৩২x২২ ক্যারেক্টার টেক্সট ডিসপ্লে, ২৫৬x১৯২ পিক্সেল রেজোলিউশান, ৮ কালার। এর স্টোরেজ সিস্টেম ছিল এক্সটারনাল টেপ রেকর্ডার অথবা মাইক্রোড্রাইভ।

সিনক্লিয়ার যেড এক্স স্পেকট্রাম +১২৮ ( Sinclair Zx Spectrum+ 128)

সিনক্লিয়ার কম্পানি তাদের নতুন এবং আরও ইম্প্রুভড যেড এক্স স্পেকট্রাম + ১২৮ , কোড নেমঃ ডারবি (Zx Spectrum+ 128K, Code Name: Derby) যার প্রথম প্রদর্শন হয় ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এবং যুক্তরাজ্যে বিক্রি শুরু করে ১৯৮৬ সালে, যার দাম ধরা হয়েছিল মাত্র ১৭৯.৯৫ পাউন্ড (এটা মাত্র !!!!!) সিনক্লিয়ার যেড এক্স স্পেকট্রাম + এর থেকে অবশ্যই নতুন কিছু আছে এতে… ১২৮ কিলোবাইট র‍্যাম, ৩২ কিলবাইট রম, এবং এক্সটারনাল কী- বোর্ড। এছাড়াও ছিল, ১৬ বিট Address বাসের নতুন যেড ৮০ প্রসেসর।নতুন সাউন্ড চিপ এবং মিডি আউট ছিল সিনক্লিয়ার যেড এক্স স্পেকট্রাম +১২৮ এর আরো একটি চমক।

কমোডোর ৬৪ (Commodore 64)

জনপ্রিয় Personal Computer গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নাম হচ্ছে, কমোডোর ৬৪, যার আগের ভার্সন টি ছিল কমোডোর ভি আই সি – ২০ এবং পরের টি ছিল, কমোডোর ১২৮।. কমোডোর ৬৪ বের হয়েছিল, অগাস্ট ১৯৮২ তে। কমোডোর কারনেল / কমোডোর বেসিক ২.০ ছিল এর অপারেটিং সিস্টেম। এর প্রসেসর ছিল মস টেকনোলজির ৬৫১০, যা ১.০২ মেগাহার্জ গতির (এন টি এস সি ভার্সন)।. নামেই বোঝা যায়, ৬৪ কিলোবাইট র‍্যাম ছিল এর ভেতরে। আর গ্রাফিক্স এর কথা বলতে গেলে বলতে হবে, ৩২০x২০০ পিক্সেল এর ১৬ কালারে এর ডিসপ্লে দেখাত। কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে ছিল, CIA Joysticks, Cartridge, RF, IEEE-488 Floppy/ Printer, Digital Tape ইত্যাদি।

আল-আলামিয়াহ এ এক্স ১৭০ (Al-ALamih AX170):

জাপানে প্রস্তুত এ Personal Computer টি ১৯৮১ থেকে ১৯৮৯ এর মধ্যে কোন এক সময়ে তৈরি করা হয়েছিল। তবে এ কম্পিউটার টি এরাবিক দেশগুলোতে খুবি চলেছিল , যার প্রধান কারন ছিল, এর এরাবিক কী বোর্ড।যাইলগ যেড ৮০ প্রসেসরের এ কম্পিউটার টিতে ৬৪ কিলোবাইট র‍্যাম এবং ৩২ কিলোবাইট রম ছিল। এর ডিসপ্লেতে এটা ১৬ কালারের গ্রাফিক্স দেখাতে পারত।
বিঃদ্রঃ ইউরোপের রেটিং এ এই কম্পিউটার টি খুবি দুস্প্রাপ্য হিসেবে দেখানো আছে।

জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় কিছু কম্পিউটার তথ্য


প্রিয় বন্ধুরা আমরা জানি যে, কম্পিউটার বর্তমান সময়ের সবচেয়ে কল্যাণকর ও জনপ্রিয় প্রযুক্তি। এজন্য বর্তমান যুগকে বলা হয় কম্পিউটারের যুগ। সারাবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও কম্পিউটার প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার ঘটে চলেছে। কম্পিউটার বিষয়ে জানা এবং কম্পিউটার ব্যবহারে  কারোরই আগ্রহের কমতি নেই।  তবে মাঝে মাঝে যখন কাউকে কম্পিউটার বিষয়ক কোন প্রশ্ন করি  বেশির ভাঘই উত্তর দিতে ব্রেনের ঘাম কপালে বের করে পেলে। তাই  আমার সকল বন্ধুদের জন্য নিছে কিছু কমন থিউরি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি থিউরিগুলো থেকে আপনারা উপকৃত হবেন।


প্রশ্নঃ কম্পিউটার কি?

উত্তরঃ কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র। যা মানুষের দেয়া তথ্য যুক্তিসংঙ্গত নির্দেশের ভিত্তিতে অতি্দ্রুত এবং নির্ভূলভাবে গণনা ও সম্পাদন সহ সঠিক ফলাফল প্রদান করতে পারে। তবে বর্তমানে কম্পিউটার শুধু গণনা কাজেই নয়, প্রায় সব ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ লেখাপড়া করা, মদ্রণ করা, তথ্য সংরক্ষন করা, গান শোনা, সিনেমা দেখা, খেলা করা, টেলিফোন করা, দেশ-বিদেশের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করা ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ কম্পিউটার শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ কম্পিউটার (Computer) শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন কমপুটেয়ার (Computare) থেকে যার অর্থ গণনা করা। সে হিসেবে কম্পিউটার অর্থ গণনাকারী যন্ত্র।

প্রশ্নঃ কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য কি?

উত্তরঃ কম্পউটার একটি বহুবিধ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র। এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলঃ নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা, দ্রুতগতি, নির্ভূলতা, ক্লান্তিহীনতা, বহুমুখীতা, স্মৃতিতে সংরক্ষণ ক্ষমতা, কাজের সূক্ষ্মতা, সহনশীলতা ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ কম্পিউটার কে আবিস্কার করেছেন?

উত্তরঃ কম্পিউটার উদ্ভাবনের কৃতিত্ব কোন একক ব্যক্তির নয়। যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন দেশের অজস্র বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল কম্পিউটার। এ প্রচেষ্টায় ইংল্যান্ডের গণিতবিদ চার্লস ব্যবেজ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন বলে তাঁকে একজন খামখেয়ালি ও বাতিকগ্রস্ত মানুষ মনে করা হলেও তাঁর ধারণা ও পরিকল্পনার জন্য তিনি আধুনিক কম্পিউটারের জনক হয়ে আছেন।

প্রশ্নঃ কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বলতে কি বুঝায়?

উত্তরঃ কম্পিউটারের যান্ত্রিক অংশসমূহকে হার্ডওয়্যার বা যন্ত্রসামগ্রী বলা হয়। হার্ডওয়্যার বা যন্ত্রাংশসমূহ পরিচালনার জন্য উপযুক্ত সফ্টওয়্যার বা প্রেগ্রামসামগ্রীর প্রয়োজন হয়। হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যারের সম্মিলিত কার্যকলাপের মাধ্যমে কম্পিউটার কাজ করে থাকে। এদের একটি ছাড়া অন্যটি কিছু করতে পারে।

প্রশ্নঃ অপারেটিং সিস্টেম বলতে কি বুঝায়?

উত্তরঃ কম্পিউটারের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রণালীর নিয়ন্ত্রন ও পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত সফ্টওয়্যারকে অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়। অপারেটিং সিস্টেম মূলত কম্পিউটারের অভ্যন্তরে ব্যবহারকারীর কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই কম্পিউটারকে অনবরত চালু রাখতে সহায়তা করে।

প্রশ্নঃ ইন্টারনেট কি?

উত্তরঃ ইন্টারনেট হচ্ছে পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমবায়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। ইন্টারটের মাধ্যমে এক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটারের সাথে ভিন্ন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ইন্টারনেটওয়ার্কিং (Internetworking) বলা হয়। সে হিসেবে ইন্টারনেটকে নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটওয়ার্কও বলা হয়।

উইন্ডোজের যে ১০টি ফিচার নকল করেছে ম্যাক


অ্যাপলের সিইও বরাবরই দাবি করে আসছেন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম তার ম্যাকিনটশেরই নকল। তবে তাকে কখনো এমনটি বলতে শোনা যায়নি যে, ম্যাকেও বেশ কিছু সুবিধা বা বৈশিষ্ট্য উইন্ডোজ থেকে নকল করা হয়েছে। হয়তো আপনিও কখনোই শোনেননি বা ভেবে দেখেননি ম্যাক কখনো উইন্ডোজের নকল করেছে কি না। সত্য কথা হচ্ছে এই যে, উইন্ডোজ ম্যাক থেকে নকল একটু বেশি করলেও ম্যাক যে একেবারেই নকল করে তৈরি হয়নি তেমনটা ভাবা ভুল। ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমেও এমন অনেক সুবিধা বা বৈশিষ্ট্যই আছে যেগুলোর আবিষ্কারক মূলত মাইক্রোসফট উইন্ডোজ।

ফাইন্ডার সাইডবার

হার্ডড্রাইভের ফোল্ডারসমূহ ব্রাউজ করার সময় সাইডবারে যে শর্টকাটগুলো দেখানো হয় এগুলো সর্বপ্রথম উইন্ডোজে দেখা যায়। উইন্ডোজ এক্সপিতে সর্বপ্রথম এই সুবিধা যোগ হওয়ার পর ওএস এক্স প্যানথারে অ্যাপল ফাইন্ডার সাইডবার নামের এই সুবিধা যোগ করে। উল্লেখ্য, উইন্ডোজে একে উইন্ডোজ নেভিগেশন প্যান বলা হয়।
ম্যাক পাথ বার

ম্যাক ওএস এক্স লেপার্ডে একটি নতুন সুবিধা দেখা যায় যাকে ম্যাক পাথ বার বলা হয়ে থাকে। ফোল্ডার উইন্ডোতে যেকোনো সিলেক্টেড ফোল্ডারের অবস্থান দেখানো হয় উইন্ডোর নিচের অংশে। এখান থেকে দ্রুত যেকোনো ফোল্ডারে যাতায়াত করা যায় অথবা এক নজরে জেনে নেয়া যায় হার্ড ডিস্কে ফোল্ডারটির অবস্থান। তবে এই সুবিধাটি প্রথম দেখা যায় উইন্ডোজ ভিসতায়, যা ম্যাক ওএস এক্স লেপার্ডের প্রায় এক বছর আগে বাজারে আসে। তবে সুবিধার দিক দিয়ে উইন্ডোজে এই বিষয়টি যার নাম উইন্ডোজ অ্যাড্রেস বারই এগিয়ে।
ব্যাক এবং ফরওয়ার্ড বাটন

ফোল্ডার উইন্ডো অর্থাৎ, হার্ড ড্রাইভ ব্রাউজ করার সময় ব্রাউজারের মতোই পেছনে (ব্যাক) অথবা সামনে (ফরওয়ার্ড) যাবার জন্য বাটন যোগ করা হয় উইন্ডোজ ২০০০-এ। মজার ব্যাপার হলো, ম্যাকে অনেক আগে থেকেই ব্যাক বা পেছনে যাবার অপশন থাকলেও ফরওয়ার্ড কোনো বাটন ছিল না। উইন্ডোজের দেখাদেখি পরবর্তীতে ম্যাক ওএস এক্স ১০.২ জাগুয়ারে ফরওয়ার্ড বাটন যোগ করা হয়।
অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো মিনিমাইজ

ম্যাকে আগে নিচের ডকে অ্যাপ্লিকেশনের লঞ্চার থাকলেও মিনিমাইজ করলে সেই উইন্ডোজ আলাদাভাবে দেখাতো। আবার ম্যাক্সিমাইজ করলে তা ডক থেকে উধাও হয়ে যেত। এখনও তেমনটাই হয়, তবে ম্যাকের সর্বশেষ সংস্করণে নতুন যোগ করা হয়েছে লঞ্চারেই মিনিমাইজ করার সুবিধা, যা ডিফল্ট অবস্থায় বন্ধ থাকে। এটিও মূলত উইন্ডোজের টাস্কবার থেকেই শিখেছে অ্যাপল।
স্ক্রিন শেয়ারিং

ম্যাক ওএস এক্স ১০.৫-এ অ্যাপল ছোট একটি ব্যবহারোপযোগী টুল যোগ করে যার নাম স্ক্রিন শেয়ারিং। এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকা অন্য ম্যাকের সঙ্গে তারহীনভাবেই যোগাযোগ স্থাপন করা যায় এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানের কম্পিউটারের ডেস্কটপ দেখা এবং নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে উইন্ডোজে রিমোট ডেস্কটপ কানেকশন নামে অনেক আগে থেকেই সুবিধা যোগ করা ছিল। শুধু তাই নয়, অ্যাপল তাদের নিজস্ব স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন বের করার আগে মাইক্রোসফটই ম্যাকের জন্য রিমোট ডেস্কটপ কানেকশন সুবিধাটি তৈরি করেছিল।
টাইম মেশিন

টাইম মেশিন উইন্ডোজ থেকে চুরি করেনি অ্যাপল, তবে টাইম মেশিন যে কাজ করে, সেই পুরো ধারণাটাই উইন্ডোজ থেকে নিয়েছে অ্যাপল। তবে এই ধারণার জনক উইন্ডোজ হলেও টাইম মেশিন ব্যবহার উইন্ডোজের ব্যাকআপ অ্যান্ড রিস্টোর এর তুলনায় অনেক বেশি সহজ ও ব্যবহারবান্ধব বলেই মন্তব্য করেন অনেকে।
সিস্টেম প্রেফারেন্স

ম্যাকিনটশ অপারেটিং সিস্টেমে ওএস এক্স সংস্করণগুলোর পূর্বে ম্যাকে কন্ট্রোল প্যানেল নামে আলাদা একটি স্থানে সিস্টেম সেটিংসের যাবতীয় ফোল্ডারগুলো পাওয়া যেত। মাইক্রোসফট পরবর্তীতে উইন্ডোজের জন্য একই নাম ব্যবহার করে কিন্তু অনেক উন্নত ও আরো সহজ এবং ব্যবহারবান্ধব উপায়ে তৈরি করে কন্ট্রোল প্যানেল। এরপর পরই ওএসএক্স ১০.০ চিতায় অ্যাপল মাইক্রোসফটের তৈরি করা কন্ট্রোল প্যানেলের ধারণা সম্পূর্ণটাই ম্যাকে কাজে লাগায় এবং এর নাম দেয় সিস্%E

 
back to top