Blogger Widgets

পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক ১০টি প্রানী


এই পৃথিবীতে সকল প্রানীরই কোন না কোন অবদান রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ভালো আর কিছু খারাপ। সৃষ্টি কর্তার এই সৃষ্টির সকল প্রানীর মধ্যে বিপজ্জনক প্রানীর সংখ্যাও কম নয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক দশটি প্রানির মধ্যে সবার আগে আসা উচিত মানুষের নাম। কারন এর চেয়ে বিপজ্জনক আর কিছু পৃথিবীতে নেই। তবুও মানুষকে এই লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি  এখানে প্রানীগুলোকে ক্রমানুসারে ভাগ করা হয়েছে কতটি দূর্ঘটনা বা মৃত্যু এর দ্বারা ঘটে থাকে তার উপর নির্ভর করে। তাই কিছু বিপজ্জনক প্রানী অন্য কম বিপজ্জনক প্রানী থেকে পিছিয়ে রয়েছে কারন এর দ্বারা ঘটা দূর্ঘটনার পরিমান কম। এবার দেখা যাক আলোচিত এই দশ জনের মধ্যে কারা আছে …

১০. ভাল্লুক 
ভাল্লুক অনেক ক্ষেত্রে মানুষের বন্ধু হতে পারে। কিন্তু বন্য ভাল্লুক গুলো? এগুলো  এতটাই বিপজ্জনক যে এই লিস্টের ১০ম স্থান অধিকার করে নিয়েছে।

ভাল্লুক দ্বারা বছরে যে পরিমান দূর্ঘটনা ঘটেঃ প্রায় ৫-১০টি

৯. হাঙ্গর
ছোট-বড় সবাই হাঙ্গর এর নাম শুনলে ভয় পায়। বিপজ্জনক কয়েকটি হাঙ্গর নিয়ে এর আগে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। চলচিত্রে হাঙ্গরকে যতটা ভয়ংকর ভাবে দেখানো হয় বাস্তবে ততটা না হলেও নিঃসন্দেহে এটি একটি নোংরা খুনী।

হাঙ্গর দ্বারা বছরে যে পরিমান দুর্ঘটনা ঘটেঃ প্রায় ১০০টি

৮. জেলীফিস
জেলীফিস দেখতে বেশ মজার হলেও কিছু কিছু জেলীফিস ভয়ংকর বিষাক্ত। এমন কিছু জেলীফিস রয়েছে যার সংস্পর্শে এলে একজন মানুষের মৃত্যু হতে ১০ সেকেন্ড এর বেশি লাগবে না।

জেলীফিস দ্বারা বছরে যে পরিমান দুর্ঘটনা ঘটেঃ প্রায় ১০০টি

৭. জলহস্তী
জলহস্তী সাধারনত আফ্রিকাতে বেশি দেখা যায়। নির্মম এই প্রানীটি জলে এবং স্থলে দুই জায়গাতেই বাস করে। এটির চোয়াল ৪ ফুট পর্যন্ত খুলতে পারে। এই চোয়ালের জোর এতো বেশি যে অনেক শক্ত বস্তুকে স্লেজহ্যামার এর মত গুড়িয়ে দিতে পারে। এগুলোর ওজন হয়ে থাকে প্রায় ১ থেকে ৩ টন।

জলহস্তী দ্বারা বছরে যে পরিমান দুর্ঘটনা ঘটেঃ প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ টি।

৬. হাতি
পোষা হাতিগুলোর বন্ধুসুলভ আচরন দেখে এমনটি ভাবার কারন নেই যে এরা তেমন ভংকর নয়। অনেক সময় পোষা হাতি এর পালককে মেরে ফেলে। বন্য হাতি সম্পর্কেতো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কোন রকম জানান দেয়া ছাড়াই আক্রমন করে বসতে পারে এটি। আর এর আকৃতিও এর স্বভাবের সাথে মানানসই।

হাতি দ্বারা বছরে যে পরিমান দুর্ঘটনা ঘটেঃ প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টি।

৫. কুমির
আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়াতে বেশি দেখা যায় কুমির। এটি একটি যথেস্ট বিপজ্জনক প্রানী। দ্রুতগতি সম্পন্ন এই প্রানীটির রয়েছে হাড় গুঁড়িয়ে দেয়ার মত খুবই শক্তিশালী চোয়াল।

কুমির দ্বারা বছরে যে পরিমান দুর্ঘটনা ঘটেঃ প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ টি

৪. বড় বিড়াল
বড় বিড়াল বলতে বাঘ, সিংহ, জাগুয়ার এগুলোকে বোঝায়। এগুলো সম্পর্কে আপনারা প্রায় সবাই কম-বেশি জানেন। অত্যন্ত দ্রুতগতি সম্পন্ন এই প্রানীগুলোর সাথে দৌড়ানোর ঝুঁকি নেয়া নিশ্চয় কারো উচিত হবে না। যদি কখনো এমন অবস্থায় পড়েন, তাহলে ভুলেও দৌড় দেয়ার কথা চিন্তা করবেন না বরং উল্টো এর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকুন আর ভাব দেখান এটিকে আপনি পরোয়াই করেন না (তবে আমি নিশ্চিত এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে আমি নিজেও ঝেড়ে দৌড় মারবো  )

বড় বিড়াল দ্বারা বছরে যে পরিমান দুর্ঘটনা ঘটেঃ প্রায় ৮০০ এর বেশি

৩. কাঁকড়া বিছা
আকৃতিতে ছোট হলেও বিছা খুবই বিষাক্ত। এটি মোটামুটি আক্রমনাত্নক এবং কোন কারন ছাড়াই আক্রমন করতে পারে। এর দ্বারা ঘটা দূর্ঘটানার পরিমান কম রেকর্ড হয়। কারন এই দূর্ঘটনাগুলো সাধারনত ঘটে থাকে একটু দুর্গম অঞ্চলে।

কাকড়া বিছা দ্বারা বছরে যে পরিমান দুর্ঘটনা ঘটেঃ প্রায় ৮০০ থেকে ২,০০০

২. বিষাক্ত সাপ
৪৫০ এর বেশি প্রজাতির সাপ বিষ বহন করে এবং এর মধ্যে ২৫০ প্রজাতির সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। সাপের বিষ মানুষের জন্য খুবই বিপজ্জনক কারন রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে এটি সারা দেহে ছড়িয়ে যায়। সাপ দ্বারা সংঘটিত বেশির ভাগ দূর্ঘটনা ঘটে থাকে এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিন আমেরিকায়।

বিষাক্ত সাপ দ্বারা বছরে যে পরিমান দুর্ঘটনা ঘটেঃ প্রায় ১০০ থেকে ১,২০,০০০
এবং ….. যার জন্য সবাই এতক্ষন অপেক্ষা করছেন। মানুষের পরেই পৃথিবীর ১ নাম্বার খুনি …

১. মশা
আশা করি মশা প্রথম স্থান অধিকার করায় আমার সাথে আপনারা কেউ দ্বিমত করবেন না। মহামারী আকারে রোগ ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের মৃত্যু ঘটাতে এর জুড়ি মেলা ভার। আগের তুলনায় কম হলেও এখনো পুরো বিশ্ব জুড়ে ভয়ানক কিছু রোগ ছড়ানো এবং মানুষের মৃত্যুর জন্য দ্বায়ী মশা।

মশা দ্বারা বছরে যে পরিমান মানুষের মৃত্যু ঘটেঃ প্রায় ২০ থেকে ৩০ লাখ!!

0 মন্তব্য(গুলি):

Post a Comment

ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য

 
back to top