Blogger Widgets

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানকে জনপ্রিয়করনের আন্দোলন

বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তার বিষয়বস্তু বের করার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট উপকরণ সমূহ ব্যবহার করেন। কিন্তু তার সিংহ ভাগই ইংলিশ বা অন্যান্য ভাষায় লেখার দরুন সাধারণ বাংলা ভাষী মানুষ সেই সকল তথ্য এবং উন্নতি সম্পর্কে জানার থেকে অনেক পিছিয়ে। তাদের কে এই বিজ্ঞান ও নানা প্রযুক্তিক সম্পর্কে জানানোর জন্যই কৌতূহল।

বিজ্ঞান এর সাথে পড়ার আনন্দ যেখানে আলাদা

কল্পবিজ্ঞান থেকে প্রাচীন বিজ্ঞান সমস্ত ধরণের জনপ্রিয় বিজ্ঞানের লেখায় ভরা এই এই কৌতূহল। আছে বিভিন্ন রকম এর বিষয়। নানান রকম নতুন নতুন প্রযুক্তির খবরা-খবর। বিজ্ঞান এর ইতিহাস।

পড়ুন যেমন খুশি, যখন খুশি। পড়ান সবাই কে।

কৌতূহল হচ্ছে বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রুপ ব্লগ। বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী পাঠকেরা ইন্টারনেটে যাতে এক জায়গায় কিছু লেখা পড়তে পারেন সেই উদ্দেশ্যে এই কৌতূহল তৈরি। আপনিও যুক্ত হতে পারেন কৌতূহল-এর সাথে।

বিজ্ঞানকে সব মানুষের কাছে জনপ্রিয় করাই আমাদের উদ্দেশ্য।

বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়গুলো গল্পের ছলে বলে সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানে উৎসাহী করা, মানুষকে বিজ্ঞানমনষ্ক করা। দুর্বোধ্য ভাষায় তত্ত্বকথা না বলে বিজ্ঞানকে সহজ করে বোঝানো, এই উদ্দেশ্যে নিয়েই পথ চলা শুরু আমাদের।

মতামত জানান কৌতূহল-এর প্রতিটি লেখা ও অন্যান্য বিষয় কে আরও উন্নত করতে।

কৌতূহল-এর কথা জানিয়ে দিন আপনার পরিচিতদের কাছে Facebook, Twitter, email-র মাধ্যমে। কিংবা মুখেমুখে। কৌতূহল-এর সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে আমাদের দরজা খোলা।

Showing posts with label রসায়ন. Show all posts
Showing posts with label রসায়ন. Show all posts

রসায়ন নিয়ে কিছু মজার ম্যাজিক


রসায়ন নিয়ে মজার অনেক কাজ করা যায় যেগুলোকে অনেকে ম্যাজিকও বলে। শিরোনাম দেখই বুঝা যাচ্ছে এই পোষ্ট রসায়নরে কিছু মজার বিষয়  নিয়ে । খেলাগুলো ছোট ছোট হলেও আর্শ্চযজনক। চলুন দেরি না করে এক নজরে দেখে ফেলি কি কি বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে আজকের পোষ্টটি।
১)বিলীয়মান রঙ
২)জলের মধ্যে শুস্কতা
৩)অন্ধকারে আলোক বিকিরণ
৪)পানির মধ্যে আগুন জ্বলা

বিলীয়মান রঙঃ
ফেনপথালিন (C20H14O4) পানিতে মিশিয়ে এর মধ্যে লিকার এমোনিয়াম ফোর্ট বা চুনের পানির দ্রবণ যোগ করলে তা থেকে এই আশ্চর্য রঙের সৃষ্টি হয় | যা কোনো সাদা কাপড়ে ছিটানুমাত্র  তা গোলাপী বর্ণ ধারণ করে | কিন্তু ঐ কাপড় শুকিয়ে গেলেই আবার আগের মত সাদা হয়ে যায় |


জলের মধ্যে শুস্কতাঃ
লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium) এক প্রকার শেওলার রেণু । এই সূক্ষ্ম রেণু সমস্ত হাতে ভালভাবে লাগিয়ে নিয়ে জলের মধ্যে হাত ডুবালে হাত আর্দ্র হয় না। এই ম্যাজিকটি অন্য ভাবেও করা যায়, জিঙ্ক স্টিযারেট (Zn(C18H35O2)2) পাউডার লাগিয়ে হাত জলে ডুবালেও তা ভিজে না । এছাড়া ঘিয়ে ভাজা বালিও জলে  নিমজ্জিত করলে তা শুষ্ক থাকে।

অন্ধকারে আলোক বিকিরণঃ
ক্যালসিয়াম সালফাইড (CaS), বেরিয়াম সালফাইড (BeS), ট্রানসিয়াম সালফাইড, জিঙ্ক সালফাইড (ZnS) প্রভৃতি রাসায়নিক পদর্থের আলোক শোষন ক্ষমতা আছে। এই সকল বস্তু কোনো উজ্জল আলোর সামনে কিছুক্ষন রেখে আন্ধকারে নিয়ে গেলে তাদের থেকে আলোক বিকিরন ঘটতে থাকে।


একটি মাটির কলসে সমুদ্রের ঝিনুকের সংঙ্গে যথেষ্ঠ পরিমাণ গন্ধনচূর্ন মিশিয়ে কলসের মুখ বান্ধ করে কয়লার চুলায় ৪০-৫০ মিনিট প্রচণ্ড উত্তাপ দিলে আলোক বিকিরণকারী ক্যালসিয়াম সালফাইড তৈরি হয়।

জলের মধ্যে আগুন জ্বলাঃ
দুই গ্রেন পরিমান ধাতব পোটাসিয়াম নিয়ে যদি এক বালতি জলে নিক্ষেপ করা যায় তা হলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন জ্বলে উঠবে।


এছাড়া জলের  পাত্রের মধ্যে ফসফরাস রেখে যদি তার কাছে একটি সরু নল দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায় তাহলে জলের নীচে বড় সুন্দর অগ্নিগিরি দেখা যায়।
2K (s) + 2H2O (l) → 2KOH (aq) + H2 (g)

কিভাবে তৈরী করবেন হাসি বায়ু?


আপনার কি কখন ও হাসি আসে না ? হাসি না আসলেও সমস্যা নেই। খুব কঠিন মানুষকে ও হাসাতে পারে রসায়ন। রসায়নের এ বিশেষ রসের নাম হাসি বায়ু বা লাফিং গ্যাস । আমার কথা শুনে হাসবেন না। সত্যি হাসি বায়ুর প্রভাবে সবাই হাসতে বাধ্য। এ বায়ুর কোন রং নেই। তবে মৃদু মিষ্টি গন্ধ আছে । এর রাসায়নিক সংকেত N2O .

আপনি কি হাসি বায়ু তৈরি করতে চান……
যা যা লাগবেঃ
১. এমনিয়াম নাইট্রেট ( একটু খোজ করলেই কিনতে পারবেন )
২. টেস্টটিউব-২ টি ( পাতলা কাচের বোতল নিলেও হবে )
৩. কাচনল ( ফেলে দেয়া স্যালাইনের প্লাস্টিক নল হলে হবে )
কি করতে হবেঃ
টেস্টটিউব এ এমনিয়াম নাইট্রেট নিন । নিচের ছবির মত করে সাজিয়ে নিন ।


এবার টেস্টটিউব এ তাপ দিন । উৎপন্ন হয়ে যাবে হাসি বায়ু ।
ব্যবহারঃ
এ বায়ু নিঃশ্বাসের সাথে অল্প পরিমাণ গ্রহন করলেই হাসি আসবে ।


সতর্কতাঃ

এ বায়ু নিঃশ্বাসের সাথে বেশি নিলে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে ।
অতিরিক্ত গ্রহণ করলে মারা যেতে পারে ।

রসায়নের কিছু মজার তথ্য


১.আপনি যদি এক গ্লাস জলে এক মুঠো লবন দেই তাহলে তো গ্লাসের জল পড়ে যাবে ,তাই না ? দিয়ে দেখুন তো পরে কি না । কি অবাক হচ্ছেন , জল-এর উচ্চতা আরও কমে গেল , তাই না ?

২.আপনার শরীরে যে পরিমান কার্বন আছে তা দিয়ে ৯০০০ পেন্সিল বানানো যাবে !!!

৩. সোনা অনেক দুর্লভ। দাম তো আকাশচুম্বী। কিন্তু আপনি কি জানেন, পৃথিবীতে যে পরিমান সোনা আছে তা দিয়ে সম্পূর্ণ পৃথিবী ঢেকে দিলে হাঁটু পরিমান উচ্চতা হবে।

৪. অক্সিজেন গ্যাস এর কোন বর্ণ নাই, কিন্তু তরল ও কঠিন অক্সিজেন নীল বর্ণের।

৫. হাইড্রফ্লুরিক এসিড এতবেশি ক্ষয়কারী যে গ্লাস গলিয়ে (dissolve ) ফেলে, কিন্তু তারপরেও এটাকে দুর্বল এসিড বলা হয় ।

৬. পৃথিবীর সবচে দুর্লভ মৌল এস্তেতিন, সারা পৃথিবীতে মাত্র ২৮ গ্রাম এস্তেতিন আছে।

৭. বায়ুমণ্ডলের প্রায় ২০ % অক্সিজেন শুধুমাত্র আমাজন রেইন ফরেস্টের মাধ্যমেই উৎপন্ন হয় ।

৮. সাধারন তাপমাত্রায় ব্রোমিন ও পারদ এ দুটো মৌল ই তরল ।

৯. আমরা জানি জল-এর রাসায়নিক নাম (H2O ) এইচ টু ও , কিন্তু ইউপ্যাক (IUPAC) অনুযায়ী জল-এর রাসায়নিক নাম ডাইহাইড্রজেন মনোঅক্সাইড।

১০. মহাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় হাইড্রোজেন কিন্তু পৃথিবীতে সবচে বেশি পাওয়া যায় অক্সিজেন (প্রায় ৪৯ % বায়ুমণ্ডল+ ভুমি+সাগর)

১১. বজ্রপাতে প্রতিবছর অনেক লোক মারা যায়, কিন্তু আপনি কি জানেন বজ্রপাত না থাকলে পৃথিবীর প্রাণীকুল ধ্বংস হয়ে যেত।কারন বজ্রপাতের মাধ্যেমেই ওজোন তৈরি হয় ।

মজার বিজ্ঞান - একটি চটচটে বিষয়



দুধ, গ্লিসারিন, মধু এসব তরলকে ঢালতে গেলে দেখা যায় যে এগুলো পড়তে থাকে জলের তুলনায় কিছুটা ধীরে। কেন এমন হয়?

আসলে, বলপ্রয়োগে তরলের প্রবাহ নির্ভর করে জিনিসটা কতটা ঘন তার ওপর। ‘ঘন’ কথাটা লিখলেও এর সাথে ঘনত্বের কোনও সম্পর্ক নেই। জলের ঘনত্ব কেরোসিন তেলের ঘনত্বের থেকে অধিক, কিন্তু ঢালার সময়ে পতনের ব্যাপারে জল বেশি ‘চটপটে’। ‘ঘন’-র পরিবর্তে ‘আঠালো’ কথাটা বোধকরি এক্ষেত্রে বেশি লাগসই।বস্তুতঃ, তরল পদার্থের বিভিন্ন স্তরের পরস্পরের সাথে এঁটে থাকার আছে এক অদ্ভুত প্রবণতা। বিভিন্ন তরলের এই প্রবণতা বিভিন্ন রকমের। মধুর তুলনায় দুধ ঢালা যে সহজ, তা তুলনামূলক ভাবে দুধের আঠালো ভাব কম থাকার কারণেই।

ভেতরের ব্যাপার

তরলের এই হালচাল থেকে প্রতীয়মান হয়, এক ধরনের আভ্যন্তরীণ রোধ (ইন্টারনাল ফিকশন) তরলের ভেতর বিরাজমান। এই রোধের কারণে শুধু নিজের চলনকে নয়, গতিশীল বস্তুকেও বাধা দেয় তরল। ডুব সাঁতার দেবার সময় জলের বাধা অনুভব করা যায়। আভ্যন্তরীণ রোধ তরলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌত ধর্ম। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘সান্দ্রতা’ (ভিসকোসিটি)।. পোশাকি নাম ব্যবহার না করলেও রোজকার কথাবার্তাতে আমরা কিন্তু হামেশাই এর উল্লেখ করে থাকি। ‘সরষের তেলের থেকে পাম তেল ভারী’ বা ‘এই ব্রান্ডের লিকুইড সোপ বেশ পাতলা’ – গোছের বক্তব্য আদতে তেল বা তরল সাবানের সান্দ্রতা নিয়েই। তরলের মতো গ্যাসেরও আছে সান্দ্রতা। বাতাসের সান্দ্রতা আছে বলেই তারস্বরে বাজতে থাকা মাইকের কান-ফাটানো আওয়াজও দূরত্বের সাথে স্তিমিত হতে হতে অবশেষে মিলিয়ে যায়। বিভিন্ন গ্যাসের সান্দ্রতার মান আলাদা। সমান চাপে ও উষ্ণতায় অক্সিজেন হাইড্রোজেনের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন সান্দ্র। অবশ্য তরলের তুলনায় গ্যাসের সান্দ্রতা খুবই কম। বাতাসের সান্দ্রতা জলের সান্দ্রতার মাত্র দুই শতাংশ।

সান্দ্রতার সাতকাহন

খুব ঠান্ডার দিনে গ্লিসারিন শিশি থেকে বেরোতে চায় না। এই সমস্যার সহজ সমাধান যে শিশিটিকে গরম করা, তা সকলেরই জানা। তাপ প্রয়োগই হচ্ছে ‘মোটা’ তরলকে ‘পাতলা’ বানানোর মোক্ষম কৌশল! কায়দাটা কেউ যদি গ্যাসের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে যান, তিনি কিন্তু ডাহা ঠকবেন! কেননা গ্যাসের সান্দ্রতা উষ্ণতা বাড়ার সাথে কমে না, বরং বাড়ে। বাতাসের উষ্ণতা ক্ষেত্র-বিশেষে তাই হয়ে ওঠে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবহাওয়া হিসেব-মাফিক না থাকলে মহাকাশে রকেট পাঠানোর কর্মসূচীও শেষ মুহূর্তে স্থগিত করতে হয়।

তাপের পরে স্বাভাবিকভাবেই আসে চাপের প্রসঙ্গ। চাপ বাড়ালে তরলের সান্দ্রতা বাড়ে। এই সাধারণ নিয়মের একমাত্র ব্যতিক্রম জল। চাপের পরিবর্তনের সাথে জলের ভিসকোসিটির তেমন কোনও হেরফের হয় না। গ্যাসের সান্দ্রতাও চাপের সাথে পাল্টায় না।



শেষ পাত

সান্দ্রতা আমাদের জীবনে প্রাভাব ফেলে নানাভাবে। সরু, লম্বা গলার শিশিতে কেউই মধু রাখতে চাইবেন না। তরল  পদার্থ হওয়ার দরুন জীবনদায়ী রক্তেরও আছে সান্দ্রতা। জলের সান্দ্রতার চেয়ে রক্তের সান্দ্রতা প্রায় আড়াই গুণ বেশি। জ্বর হলে দেহের উষ্ণতা বাড়ে। টেম্পারেচার বাড়ায় রক্তের সান্দ্রতা কমে। অতএব, বাড়ে তারল্য। ফলে হার্টের পক্ষে দেহের সর্বত্র রক্ত পৌঁছে দেওয়ার কাজ কিছুটা সহজ হয়। পক্ষান্তরে, কোনও কারণে রক্তের সান্দ্রতা বাড়লে হার্টের ওপর চাপ পড়ে। দীর্ঘকাল এভাবে চললে আশঙ্কা থাকে অসুস্থ হওয়ার। বাতাসের সান্দ্রতার ব্যাপারটা দ্রুত গতিসম্পন্ন যানের ডিজাইনারদের মাথায় রাখতেই হয়। বাতাসের রোধ কমানোর জন্য এই প্রকার যানকে হতে হয় ধারারেখিত (স্ট্রিমলাইনড্‌) আকারের। জাপানের বুলেট ট্রেন কিংবা এরোপ্লেনের ‘নাক’ টিকলো হয় ঠিক এই কারণেই!

ড্রাই আইস



আকর্ষণ সৃষ্টির জন্যে বিভিন্ন সময় গানের স্টেজে অথবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় কুয়াশার মত ধোঁয়া দেখতে পাই আমরা। এটা আসলে ড্রাই আইস বা শুষ্ক বরফ নামেই পরিচিত। তার মানে কি এটা কঠিন পানি? কিন্তু পানি কঠিন হলে কি সেটা ধোঁয়ার মত উড়বে?



প্রথমে ড্রাই আইস কি সেটা বলি। সহজে বললে, শুষ্ক কার্বন-ডাই-অক্সাইডের কঠিন রূপকেই ড্রাই আইস বলে। অনেক কম তাপমাত্রায় এবং কম চাপে (−56.4 °C তাপমাত্রা এবং 5.13 atm চাপে) গ্যাসীয় কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে রেখে দিলে সেটি তরলে রূপান্তরিত না হয়ে সরাসরি কঠিন পদার্থের আকার ধারণ করে। এই কঠিন পদার্থটিই আসলে ড্রাই আইস বলে আমরা জানি।

তাহলে এই কঠিন পদার্থটি আবার ধোঁয়ার মতই উড়বে কিভাবে?

আসলে ড্রাই আইসকে যখন উষ্ণ ও গরম পানির সংস্পর্শে আনা হয়, তখন মেঘের মত দেখতে শুভ্র ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এই সাদা ধোঁয়াটি কিন্তু কার্বন-ডাই-অক্সাইড নয়, অধিক ঘনমাত্রার পানির বাষ্পের সাথে মিশ্রিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড। ব্যাপার হচ্ছে, প্রচণ্ড ঠাণ্ডার ফলে গরম পানির বাষ্প ঘনীভূত হয়ে এমন আকার ধারণ করে। কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাহিত এই কুয়াশাটা অনেক ভারী হয়, তাই এটি পাত্রের নিচে জমা হয়, তাই দেখা যায় এটি ফ্লোর ঘেঁষে ঘেঁষে উড়ছে।



এই ড্রাই আইস আমাদের নিত্যদিনের জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই  ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা তা জানিনা! রোডে যেসব গাড়িতে করে আইসক্রিম বিক্রি করা হয়, সেখানেও সংরক্ষণের জন্য কিন্তু ড্রাই আইস ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া এই ড্রাই আইস হিমাগারে জিনিসপত্র সংরক্ষণে এবং জাহাজে করে দূরে পচনশীল পণ্য প্রেরণ করতে ব্যবহৃত হয়।

তবে ভুলেও খালি হাতে ড্রাই আইস হাতে নিতে যাবেন না। কেননা এটি এতই ঠাণ্ডা যে এর ফলে চামড়ার অনেক ক্ষতি হবে।

 
back to top