Blogger Widgets

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানকে জনপ্রিয়করনের আন্দোলন

বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তার বিষয়বস্তু বের করার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট উপকরণ সমূহ ব্যবহার করেন। কিন্তু তার সিংহ ভাগই ইংলিশ বা অন্যান্য ভাষায় লেখার দরুন সাধারণ বাংলা ভাষী মানুষ সেই সকল তথ্য এবং উন্নতি সম্পর্কে জানার থেকে অনেক পিছিয়ে। তাদের কে এই বিজ্ঞান ও নানা প্রযুক্তিক সম্পর্কে জানানোর জন্যই কৌতূহল।

বিজ্ঞান এর সাথে পড়ার আনন্দ যেখানে আলাদা

কল্পবিজ্ঞান থেকে প্রাচীন বিজ্ঞান সমস্ত ধরণের জনপ্রিয় বিজ্ঞানের লেখায় ভরা এই এই কৌতূহল। আছে বিভিন্ন রকম এর বিষয়। নানান রকম নতুন নতুন প্রযুক্তির খবরা-খবর। বিজ্ঞান এর ইতিহাস।

পড়ুন যেমন খুশি, যখন খুশি। পড়ান সবাই কে।

কৌতূহল হচ্ছে বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রুপ ব্লগ। বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী পাঠকেরা ইন্টারনেটে যাতে এক জায়গায় কিছু লেখা পড়তে পারেন সেই উদ্দেশ্যে এই কৌতূহল তৈরি। আপনিও যুক্ত হতে পারেন কৌতূহল-এর সাথে।

বিজ্ঞানকে সব মানুষের কাছে জনপ্রিয় করাই আমাদের উদ্দেশ্য।

বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়গুলো গল্পের ছলে বলে সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানে উৎসাহী করা, মানুষকে বিজ্ঞানমনষ্ক করা। দুর্বোধ্য ভাষায় তত্ত্বকথা না বলে বিজ্ঞানকে সহজ করে বোঝানো, এই উদ্দেশ্যে নিয়েই পথ চলা শুরু আমাদের।

মতামত জানান কৌতূহল-এর প্রতিটি লেখা ও অন্যান্য বিষয় কে আরও উন্নত করতে।

কৌতূহল-এর কথা জানিয়ে দিন আপনার পরিচিতদের কাছে Facebook, Twitter, email-র মাধ্যমে। কিংবা মুখেমুখে। কৌতূহল-এর সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে আমাদের দরজা খোলা।

Showing posts with label মজার তথ্য. Show all posts
Showing posts with label মজার তথ্য. Show all posts

জেনে রাখুন বিষ্ময়কর কিছু তথ্য!



* একটা কম্পিউটারের অন্তত দশ লক্ষাধিক শক্তিশালী হ্‌ওয়া লাগবে মানব মস্তিস্কের সমান কাজ করতে হলে ।

* একটা নয়া মডেলের শক্তিশালী কম্পিউটার একটা .১ গ্রাম ওজনের গোল্ডফিসের মস্তিস্কের সমানও কাজ করতে সক্ষম নয় ।

* ১০০ বছর আগেও বোর্নিওতে মানুষের মাথার খুলি মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

*বিড়াল ১০০ রকম শব্দ করতে পারে। আর কুকুর পারে মাত্র ১০ রকম।

* মানব মস্তিস্ক শরীরের আয়তনের মাত্র ২% হলেও এর শক্তি চাহিদা অনেক । মোট শক্তির ২০% ।

* প্রতিদিন মহিলারা গড়ে ৭০০০ বাক্য বলে থাকে, আর পুরুষরা বলে থাকে ২০০০ বাক্য ।

* পৃথিবী যদিও নিজ অক্ষে ঘন্টায় ১০০০ মাইল বেগে ঘোরে, কিন্তু অবিশ্বাস্য গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলে, ঘন্টায় প্রায় ৬৭০০০ মাইল বেগে ।

* বাচ্চা বিড়াল চোখ বন্ধ অবস্থায় জন্মায়। ৭ থেকে ১৪ দিন এভাবে চোখ বন্ধ অবস্থাতেই থাকে।

পৃথিবীর প্রাণীদের মধ্যে ৮০ ভাগই হচ্ছে পোকামাকড়।

* প্রাচীনকালে গ্রীক ও রোমানরা শুকনো তরমুজকে মাথার হেলমেট হিসেবে ব্যবহার করতো।

* চোখ খুলে হাঁচি দেখা সম্ভব নয়। আয়নায় চেষ্টা করে দেখতে পারেন!।

* মাথা কাটা পড়লেও তেলাপোকা বেঁচে থাকে কয়েক সপ্তাহ

তথ্যভান্ডার হিসেবে ডিএনএ


ইএমবিএল-ইবিআই(ইউরোপিয়ান মলেকিউলার বায়োলজি ল্যাবরেটরী-ইউরোপিয়ান বায়োইনফর্মেটিক্স ইন্স্টিটিউট) এর গবেষকরা তথ্যকে ডিএনএ হিসেবে জমা রাখার উপায় আবিস্কার করেছেন। এই নতুন পদ্ধতিটি বিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘নেচার’ এ ২৩ জানুয়ারি,২০১৩ তে প্রকাশিত হয়েছে। এর মাধ্যমে অন্তত একশ মিলিয়ন ঘন্টার হাই ডেফিনিশান ভিডিওকে এক কাপ ডিএনএর মধ্যে জমা করে রাখা সম্ভব হবে।
ডিজিটাল তথ্যে ভরে গেছে পৃথিবী। যার পরিমাণ প্রায় তিন হাজার বিলিয়ন বিলিয়ন বাইটস। প্রতিনিয়ত এতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন তথ্য। এ তথ্যগুলো সংরক্ষণের কাজে যারা নিয়োজিত তাদের জন্য কাজটা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন তথ্য জমিয়ে রাখার জন্য হার্ড ডিস্ক ব্যবহার করা হচ্ছে যা অত্যন্ত মূল্যবান এবং এর জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন হয়। বিদ্যুতের সাহায্য ছাড়াই ম্যাগনেটিক টেপে তথ্য জমিয়ে রাখা যায় কিন্তু এই টেপ এক দশকের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। জীববিজ্ঞানে তথ্য জমিয়ে রাখার এ সমস্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কারণ হচ্ছে বিজ্ঞানের এই শাখায় তৈরি হয়েছে তথ্যের এক বিশাল ভান্ডার । ডিএনএ সিকোয়েন্স গুলো ও এর মধ্যে আছে।
গঠনগত দিক দিয়ে ডিএনএ তে থাকা তথ্যগুলো অবিকৃত ভাবে থাকতে পারে বছরের পর বছর।  প্রাগৈতিহাসিক কালের প্রাণীদেহের ধ্বংসাবশেষ থেকে ডিএনএ আইসোলেশান করলেও তার জেনেটিক গঠন সম্পর্কিত তথ্যসমূহ নির্ভূলভাবে জানা যায়। তাই ডিজিটাল তথ্যকে যদি ডিএনএ কোডে পরিবর্তিত করা যায় তাহলে অল্প জায়গায় অনেক তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে। এর পরিবহন এবং সংরক্ষণ দুটোই খুব সহজ।
কিন্তু এই পদ্ধতি ব্যবহারে একটি অসুবিধা হচ্ছে ডিএনএ রিড করা যতটা সহজ রাইট করা অতটা সহজ নয়। আর এটাই তথ্য সংরক্ষণাগার হিসেবে ডিএনএ ব্যবহারের পথে প্রধাণ বাধা। এক্ষেত্রে দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। প্রথমত, প্রচলিত পদ্ধতিতে ডিএনএ তৈরি করতে গেলে ছোট ছোট সুত্রক তৈরি করা যায়। দ্বিতীয়ত, রিডিং এবং রাইটিং দুইক্ষেত্রেই ভুলের সম্ভাবনা থাকে বিশেষ করে যেখানে পরপর একই ডিএনএ লেটার থাকে। ইএমবিএল-ইবিআই এর বিজ্ঞানীরা এমন কোড তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছেন যে তাতে দুটি সমস্যারই সমাধান হবে।
নতুন পদ্ধতিতে এনকোডেড তথ্য থেকে ডিএনএ সংশ্লেষণ করতে হয়। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক একটি সংস্থা Agilent Technologies, Inc এ কাজে সাহায্য করেছে।
ইএমবিএল-ইবিআই এর গবেষক ইয়ান বিরনি এবং নিক গোল্ডম্যান তাদেরকে মার্টিন লুথার কিং এর বিখ্যাত ভাষণ “আমার একটা স্বপ্ন আছে” এর এমপিথ্রি, ইএমবিএল-ইবিআই এর ছবির জেপিজি ভার্সন,ওয়াটসন ও ক্রিকের সেমিনার পেপার “নিউক্লিক এসিডের আণবিক গঠন” এর পিডিএফ, শেক্সপিয়ারের সনেটসমূহের টেক্সট ফাইল এবং এনকোডিং বর্ণনা করে একটি ফাইলের এনকোডেড সংকলন পাঠান। Agilent ওয়েব থেকে ফাইলগুলো ডাউনলোড করে এবং সেই অনুযায়ী হাজার হাজার ডিএনএ সূত্র সংশ্লেষণ করে। সব মিলিয়ে সেটা দেখা যায় এক কণা ধূলোর সমান। Agilent একে ইএমবিএল-ইবিআই এ পাঠায় যেখানে গবেষকরা ডিএনএ সিকোয়েন্স করে নির্ভুলভাবে ফাইলগুলোকে ডিকোড করে।

সময় নিয়ে কিছু কথা


যদিও শিরনাম দেখে মনে হতে পারে ইতিহাস নিয়ে কথা বলবো, আসলে তা কিন্তু নয়। মূলত আমি সময় নিয়ে কথা বলবো। সময় নিয়ে তেমন ভাবে বলার কিছুও নেই, আমরা সকলেই জানি সময় হচ্ছে প্রবাহিত নদীর মত, বয়ে চলে যায়। সময়কে মাপার জন্য অনেকগুলি একক আমরা তৈরি করে রেখেছি যাদের সেকেন্ড-মিনিট-ঘন্টা ইত্যাদি ইত্যাদিতে প্রকাশ করা হয়। আজকের এই ক্ষুদ্র আলোচনায় আপনাদের সামনে সেই বস একককেই তুলে ধরতে যাচ্ছি। এগুলি হয়তো অনেকেরই জান, কিন্তু গুটি কয়েক জনেরও যদি জানা না থাকে আর আমার এই লেখা থেকে তারা যদি তা জানতে পারেন তাতেই আমি খুশি। তাহলে শুরু করা যাক সময়ের এককগুলি জেনে নেয়ার এই চেষ্টা।

সিদ্ধান্তজ্যোতিষের (৩০০-১২০০খৃ:) সময়ে সময়কে অনেকগুলি বিভাগে ভাগ করা হতো। সেই বিভাগগুলি দেখার আগে আরও কিছু জিনিস আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। বাংলা চলচিত্রের একটি বিখ্যাত গান আছে -
“এক পলকে একটু দেখা
আরও একটু বেশি হলে ক্ষতি কি?”
আরও একটু বেশি হলে কোন ক্ষতি ছিল কিনা তা যারা ছবিটি দেখেছেন তারাই বলতে পারবেন, কিন্তু আমরা কজন জানি “১ পল” সমান-সমান কতটা সময়?
আমরা অহরহই বলি- “এক দণ্ড দাঁড়ানোর সময় নাই।”
এখন প্রশ্ন হচ্ছে “১ দণ্ড” বা “১ প্রহর” সমান-সমান কতটা সময়?
যারা জানেন তাদের অভিনন্দন আর যারা জানেন না তারা আজকের পর থেকে জেনে যাবেন। আমি যদি বলি “এক সূর্যোদয় থেকে আরেক সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়কে মোট ৬০টি দণ্ডে ভাগ করা হয়েছে” তাহলে দাঁড়ায়
২৪ ঘন্টা = ৬০ দণ্ড।
বা ১ ঘন্টা = (৬০÷২৪) দণ্ড বা ২.৫ দণ্ড
অতএব ২.৫ দণ্ড = ১ ঘন্টা
বা ২.৫ দণ্ড = ৬০ মিনিট
বা ১ দণ্ড = (৬০÷২.৫) মিনিট বা ২৪ মিনিট।
তাহলে দেখা যাচ্ছে ২৪ মিনিটে হয় ১ দণ্ড।
তাহলে উপরের হিসাব থেকে দেখতে পাচ্ছি যে কেউ যখন বলে “এক দণ্ড দাঁড়ানোর সময় নাই” তার অর্থ হচ্ছে উনি ২৪ মিনিট দাঁড়াতে পারবেন না।
আবার আমরা এটা বলে থাকি যে – “অষ্টপ্রহর ব্যস্ত থাকতে হয়।”
এখানে জেনে রাখুন, ৮ প্রহর = ৬০ দণ্ড।
আর আমরা আগেই জেনেছি ৬০ দণ্ড = ১ দিবারাত্রি।
অর্থাৎ
৮ প্রহর = ২৪ ঘন্টা
বা ১ প্রহর = (২৪÷৮) ঘন্টা
বা ১ প্রহর = ৩ ঘন্টা।
তাহলে দেখতে পাচ্ছি ৩ ঘন্টায় হয় ১ প্রহর।
চোখের পলক ফেলার আগেই যদি কেউ হাওয়া হয়ে যায়, তাহলে তার হাওয়া হতে কত সময় লেগেছে বলতে পারবেন? চোখের পলক ফেলতে আমাদের হয়ত সেকেন্ডেরও কম সময় লাগে, কিন্তু জেনে রেখেন ১ পল সমান-সমান কিন্তু ২৪ সেকেন্ড। ২৪ সেকেন্ডে কেউ হাওয়া হয়ে যেতে পারে কিনা তার হিসাব এবার আপনারা করেন।
যাইহোক ইউরোপিয়ান রীতিতে আমরা জানি
১০০০০০০ নেনোসেকেন্ড = ১ মিলিসেকেন্ড।
১০০০ মিলিসেকেন্ড = ১ সেকেন্ড।
৬০ সেকেন্ড = ১ মিনিট।
৬০ মিনিট = ১ ঘন্টা।
২৪ ঘন্টা = ১ দিন। (দিবারাত্রি)
৭ দিন = ১ সপ্তাহ।
৩০ দিন = ১ মাস।
১২ মাস বা ৩৬৫ দিন = ১ বছর।
১০০ বছর = ১ শতাব্দী।
কিন্তু সত্যিকারের নক্ষত্রীয় সময়ে ৬০ সেকেন্ড = ১ মিনিট নয়, বরং ৫৯.৮৩৬১৭ সেকেন্ড = ১ মিনিট হয়।
আবার যদিও বলা হচ্ছে ৩০ দিনে এক মাস, আসরে বলা উচিত-
২৮, ২৯, ৩০ বা ৩১ দিনে এক মাস।
ফেব্রুয়ারি মাস হয় ২৮ দিনে, লিপইয়ারে আবার হয় ২৯ দিনে। আবার কিছু মাস হয় ৩০ বা ৩১ দিনেও
আমরা বলি ৩৬৫ দিনে ১ বছর, আসলে-তো ৩৫৬ বা ৩৬৬(লিপ ইয়ার) দিনে এক বছর হয়।

এক মাসে ১০ টি শনিবার ! তাও আবার ফেব্রুয়ারি মাসে !!!


লেখাটির শিরোনাম দেখে নিশ্চয়ই অনেক অবাক হয়েছেন।হবারই কথা।এক মাসে আবার ১০ টা শনিবার হয় নাকি?তা সেটা যে মাসেই হোক না কেন?যাই হোক এবার দেখি কেন এই রকম উদ্ভট কথা?



আমরা জানি পৃথিবীর একদিকে যখন দুপুরের সূর্যের কারনে আমাদের মাথা গরম হয়ে যায়, পৃথিবীর অন্য প্রান্তে তখন নিঝুম রাত।কিন্তু আমরা যদি রাত বারটার আগে এখান থেকে যাত্রা শুরু করে হঠাৎ করে ঐ প্রান্তে চলে যাই তবে যাবার সময় যদি শনিবার হয়,যাবার পড়ে কি শনিবারই থাকবে নাকি রবিবার হবে?আর এই প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্যই বেরিং প্রণালী আর প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে ১৮০ ডিগ্রি মধ্যরেখা ধরে একটা কল্পিত রেখা টানা টানা হয়েছে।এটার নাম হল আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা।এখন আমরা যদি এই রেখার এই প্রান্তে থাকতে শনিবারে থাকি তবে সেটা পার হলেই আমরা রবিবারে চলে যাব।তাই এই রেখাটা কোন স্থলভাগের উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি,যাতে একই জায়গায় একসাথে ২ বার না হয়।তো এবার আসি ফেব্রুয়ারি মাস প্রসঙ্গে।কোন ফেব্রুয়ারি মাস যদি লিপ ইয়ারে পড়ে আর তার শুরু যদি হয় শনিবারে তবে ফেব্রুয়ারি মাসে সবথেকে বেশী হলেও ৫ টির বেশী শনিবার হওয়া সম্ভব না।তাহলে এখন প্রশ্ন ১০ টি কিভাবে সম্ভব?আচ্ছা ধরি, কোন জাহাজ সাইবেরিয়া থেকে আলাস্কা যাতায়াত করে এবং প্রতি শনিবার এশিয়ার তীর ছাড়ে।এখন ঐ জাহাজের নাবিক যদি কোন লিপ ইয়ারের ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখে শনিবারে জাহাজটিকে পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে চালায় তবে সে তারিখ রেখা পার হবার কারনে প্রতি সপ্তাহে ২ টি করে শনিবার গুনবে।আর এভাবে সে ১০ টি পর্যন্ত শনিবার গুনতে পারবে।মানে তার সেই ফেব্রুয়ারি মাসে ১০ টি শনিবার আসবে।কিন্তু এর উল্টোটিও ঘটা সম্ভব।যদি সে নাবিক জাহাজটিকে একদিন আগে মানে শুক্রবারে ছাড়ে তবে সে সারা মাসে একটি শনিবারের দেখাও পাবে না।কি খুব বেশী অবাক হলেন?তবে যাই হোক আমি হলে কিন্তু জাহাজ শুক্রবারেই ছাড়ব।এত শনিবারের আমার কোন দরকার নেই।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কুকুর !!




একটি কুকুর সবোচ্চ কতটুকু দীর্ঘ হতে পারে। যে কারও চোখ কপালে উঠে যাবে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘকায় কুকুর সম্পর্কে জানলে । ৪৪ ইঞ্চি দীর্ঘ এ কুকুরটির বাস যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে । তার মনিব আদর করে নাম রেখেছেন 'জিউস' ।. গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠিয়ে এরই মধ্যে অফিসিয়াল স্বীকৃতি অর্জন করে ফেলেছে জিউস ।
পেছনের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ালে জিউস কোনো অংশে দীর্ঘকায় মানুষের চেয়ে কম যায় না । অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, জিউসের উচ্চতা সাত ফুট চার ইঞ্চি বা দুই দশমিক দুই মিটার!
কি বিশ্বাস হচ্ছে না?
না হওয়ারই কথা ।

এদিকে আরেক দৈত্যকায় আকারের কুকুর জায়ান্ট জর্জকে পেছনে ফেলেছে জিউস । জর্জের চেয়ে তার উচ্চতা এক ইঞ্চি বেশি । জিউসের মনিব ডেনিস ডুরল্যাগ তিন বছর ধরে কুকুরটির দেখাশোনা করছেন । তিনি বললেন, 'মানুষ একটি প্রশ্ন প্রায়ই করে । ও কি কুকুর না ঘোড়া? জিউস যদি কারও পায়ের ওপর দাঁড়ায় , তবে নির্ঘাত ক্ষতচিহ্ন ফেলবে সেখানে । আমরা যখন জিউসকে বাড়িতে এনেছিলাম , তখন তাকে পরিবহনে আলাদা একটি পিকআপ ট্রাক ভাড়া করতে হয়েছিল ।'


কৃত্রিম বৃষ্টি


বৃষ্টির উপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা । প্রচণ্ড গরমে এক পশলা বৃষ্টি স্বস্তির পরশ বুলিয়ে দেয় ।আবার ফসল ফলানোর জন্য হাহাকার উঠে কৃষকের মনে বৃষ্টির জন্য । কেমন হয় যদি কৃত্রিমভাবে করা যায় বৃষ্টিপাত । ঠিক এই কথাই প্রথম ভেবেছিলেন মার্কিন বিজ্ঞানী ভিনসেন্ট শায়েফার। তিনি বাতাসের জলীয় বাষ্পকে জমাট বাঁধিয়ে মেঘ বানাতে ব্যবহার করেছিলেন জমাট বাঁধা কার্বন ডাই অক্সাইডের টুকরা (ড্রাই আইস: Dry Ice)। তিনি বার্কশায়ার পাহাড়ের কাছে ড্রাই আইস ছুঁড়ে দিয়ে তুলোর মতো মেঘ বানাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাই তাঁকেই কৃত্রিম মেঘের জনক বলা হয়ে থাকে।
সূর্যের তাপে বিভিন্ন পুকুর, নদী, সাগরের পানি জলীয়বাষ্পে পরিনত হয় । সেই জলীয় বাষ্প হালকা হওয়ার কারণে উপরে উঠে গিয়ে বাতাসের ধূলিকণা, বালুর কণা ইত্যাদির সহায়তায় জমাটবদ্ধ হয়ে তৈরি করে মেঘ। এভাবে মেঘের আকৃতি বড় হতে হতে যখন ভারি হয়ে যায়, তখন হয় বৃষ্টি। এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াটিকে মানবনিয়ন্ত্রীত পন্থায় করাকেই বলা হচ্ছে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত। কৃত্রিম বৃষ্টিপাতে, কখনও পুরো প্রক্রিয়াটি, কখনও তার আংশিক (জলীয় বাষ্পকে মেঘে রূপান্তর) নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রথমে দ্রুতগতির বড় পাখা দিয়ে কোনো জলক্ষেত্রের পানিকে বাষ্পিভূত করা হয়। হালকা সেই বাষ্প উপরে উঠে গিয়ে বাতাসের ধূলিকণার সাথে মিশে জমাট বাঁধে। তবে এই জমাট বাঁধানোর ব্যাপারটিও কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সিলভার আয়োডাইডের কণা ছুঁড়ে দিয়ে। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক কিংবা কৃত্রিমভাবে তৈরি জলীয় বাষ্পকে জমানোর জন্য বন্দুক কিংবা রকেট ব্যবহার করে ভূমি থেকে উপরের দিকে, কিংবা বিমান ব্যবহার করে আকাশ থেকে ভূমির দিকে সিলভার আয়োডাইডের কণা ছড়িয়ে দেয়া হয়। উষ্ণ অঞ্চলে একাজে ব্যবহার করা হয় ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড।এভাবে জমাটবদ্ধ জলীয় বাষ্প বা মেঘ যখন ভারি হয়ে যাবে, তখন ঐ স্থানে ঝরে পড়বে মেঘ, হবে বৃষ্টি। কৃত্রিম বৃষ্টির এই প্রক্রিয়া যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ।
কৃত্রিম বৃষ্টি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশার বাণী নিয়ে এসেছে। সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে চীন। চীনের উত্তর অংশে বৃষ্টিপাত সাধারণ খুব কম হয়। পানির অন্যান্য উৎসগুলোর অবস্থাও ভয়াবহ খারাপ। তাই কৃত্রিম বৃষ্টি কাজে লাগিয়ে তারা ইচ্ছামতো বৃষ্টি ঝরিয়ে নদ-নদীর পানি ১৩% পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হয়েছে ।

চিতা কি ভাবে এত দ্রুত ছোটে?


একটি ‘ফেরারী এনজো’ সেকেন্ডে প্রায় ৮ মিটার গতি তুলতে পারে। আর একটি চিতা তুলতে পারে সেকেন্ডে প্রায় ১০ মিটার। প্রথম তিন লাফে এর গতি উঠে যায় ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার এর বেশি! এর বিশেষভাবে তৈরি দেহ নিয়ে এটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ প্রায় ১১২ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে সক্ষম যা সত্যি অবাক করার মত। স্থলচর প্রানীদের মধ্যে চিতা সবচেয়ে বেশি দ্রুতগতি সম্পন্ন। খুব দ্রুত দৌড়াতে পারলেও এটি একটানা খুব বেশি দৌড়াতে পারে না। আর তাই শিকার ধরার ক্ষেত্রে দ্রুতগতিই এর ভরসা। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগতে পারে, চিতা কি কারনে এত দ্রুত দৌড়াতে পারে।



চিতা বিড়াল গোষ্ঠির প্রানী। এটি দেখতে অনেকটা লেপার্ড এর মত তবে আকৃতিতে ছোট। চিতা সাধারনত দৈর্ঘ্যে ৪ ফিট এবং উচ্চতায় ৩ ফিট এর মত হয়। এর লম্বা লেজটি দ্রুত দৌড়ানোর সময় গতি নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। যে কোন প্রানী যেটি তিন লাফে ৬০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে, তার দেহ অবশ্যই এর জন্য বিশেষায়িত। চিতার ওজন হয় সাধারনত ১২৫ পাউন্ড যা বিড়াল গোষ্ঠীর অন্যান্য শিকারী প্রানী থেকে অনেক কম। এর দেহের আকৃতি ‘এরোডায়নামিক’।. অর্থাৎ ছোটার সময় এটিকে খুব একটা বাতাসের বাধায় পড়তে হয় না। ‘এরোডায়নামিক’ আকৃতি এর উদাহরন হিসেবে বলা যায় উড়োজাহাজ। এর পাতলা শরীর, ছোট মাথা এবং চিকন লম্বা পা বাতাসের দ্বারা খুব একটা বাধাপ্রাপ্ত হয় না।

দৌড়ানোর সময় বাতাসে ভেসে থাকা চিতা, যদিও এক সেকন্ডের কম সময়ের জন্য
চিতার চোখগুলোও একটু চওড়া হয় যাতে এটি দ্রুতগতিতে দৌড়ানোর সময় চারপাশের দৃশ্যপট এটির দৃষ্টিসীমায় থাকে। দ্রুত দৌড়ানোর সময় শরীরে প্রচুর রক্ত পাম্প করার জন্য চিতার রয়েছে একটি শক্তিশালী হৃদপিন্ড। এর বড় আকৃতির ফুসফুস বেশি বাতাস ধারন করতে পারে যা দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। এর লম্বা লেজটি দৌড়ানোর সময় দিক নিয়ন্ত্রন এবং ওজনের ভারসাম্য রক্ষা করে। ফলে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে দৌড়ানোর সময় এর শরীর ঘুরে যায় না বা নিয়ন্ত্রন হারায় না।

দ্রুতগতি সম্পন্ন ছোট প্রানী ধরার ক্ষেত্রে চিতা বেশি পারদর্শী
দ্রুত দৌড়াতে পারলেও এটি খুব বেশিক্ষন ছুটতে পারে না। সর্বোচ্চ গতিতে এটি প্রায় ৩০ সেকেন্ড এর মত দৌড়াতে পারে। এরপর এর শরীর এতটাই গরম এবং ক্লান্ত হয়ে যায় যে, এটিকে কিছুক্ষন বিস্রাম করতে হয় আগের অবস্থায় ফিরে আসার জন্য। অনেক সময় এটি শিকার ধরার পর সাথে সাথে খেতে পারে না ক্লান্তির জন্য। আর তখন সিংহ বা এ জাতীয় বড় শীকারি প্রানি এসে এদের শিকার নিয়ে যায়। আর স্বভাবত সিংহের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা চিতার নেই। মূলত দ্রুত দৌড়ানো ছাড়া চিতার আর কোন বিশেষ গুন নেই। এটি মোটেও শক্তিশালী নয় এবং শিকার নিয়ে অন্য প্রানীর সাথে মারামারির চাইতে পালিয়ে যেতেই পছন্দ করে। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় এটি গাছে চড়ে শিংহ জাতীয় প্রানী থেকে রক্ষা পায়। যদিও বলা হয় চিতা একমাত্র বিড়াল গোষ্টীর প্রানী যেটি গাছে চড়তে পারে না। কারন এর পায়ের তালু বিড়ালের মত নয় বরং অনেকটা কুকুর এর মত। তবে ঠেকায় পড়লে বাঘেও ঘাস খায় প্রবাদের মত চিতাও ঠেকায় পড়লে গাছে ওঠে। তবে গাছে চড়ার ক্ষেত্রে ওস্তাদ ‘লেপার্ড’ এর সংগে চিতার গাছে চড়াকে কোনভাবেই তুলনা করা যাবে না। লেপার্ড নিজে তো গাছে উঠেই অনেক সময় বড় আকৃতির শিকার নিয়েও গাছে উঠে যায় যাতে সিংহের মত অলস শিকারিরা তার শিকার ছিনিয়ে নিতে না পারে

স্বপ্ন সম্পর্কিত কিছু মজার তথ্য


০১. সাইকলজিষ্টদের মতে রাতে অনিদ্রা হওয়ার অর্থ আপনি হয়ত অন্য কারো স্বপ্নে জীবিত।

০২. আপনি কখনই একসাথে নাক ডাকতে এবং স্বপ্ন দেখতে পারবেন না।

০৩. গড়ে একজন মানুষ বছরে ১৪৬০টি স্বপ্ন দেখে। অর্থাৎ প্রতি রাতে গড়ে প্রায় ৪ টি।

০৪. আমাদের মষিÍষ্ক কোন চেহারা তৈরী করতে পারে না। আমরা স্বপ্নে যে সব চেহারা দেখি তার সবগুলোই আমরা আমাদের জীবনে কখনও না কখনও দেখেছি। আমাদের জীবনে আমরা পথে ঘাটে অসংথ্য চেহারা দেখি যা মনে রাখতে পারি না। কিন্তু আমাদের সাবকনসাস মাইন্ড তা ধরে রাখে এবং স্বপ্নে তা দেখায়।

০৫. প্রতিটি মানুষই স্বপ্ন দেখে। যদি আপনি মনে করেন আপনি স্বপ্ন দেখেন না তার অর্থ হয় আপনি তা মনে রাখতে পারেন না নয়ত আপনি জটিল কোন মানসিক রোগে ভুগছেন।

০৬. মানুষ তার জীবনের প্রায় ৬ বছর স্বপ্ন দেখে কাটায়।

০৭. সাধারনত গর্ভবতী মহিলারা অন্যান্যদের চেয়ে বেশী স্বপ্ন মনে রাখতে পারে। তার কারণ, গর্ভকালীন সময়ে তাদের অতিমাত্রায় হরমোনের পরিবর্তন হয়।

০৮. স্বপ্ন দেখার ৫ মিনিটের মধ্যে আমরা তার ৫০শতাংশ ভুলে যাই, ১০ মিনিটের মধ্যে ভুলে যাই প্রায় ৯০ শতাংশ।

০৯. আমরা সাধারনত প্রায় ৯০ থেকে ১৮০ মিনিট স্বপ্ন দেখি যেখানে, গড়ে একটি স্বপ্নের স্থায়িত্ব হয় ১০ থেকে ১৫ মিনিট। সবচেয়ে লম্বা সময় স্বপ্ন দেখি সকালে যার স্থায়িত্ব ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট।

 ১০. সাধারণত শিশুরা দুঃস্বপ্ন বেশি দেখে।

 
back to top